মেঘনার জলদস্যু ফোরকান বাহিনীর ৪ সদস্য আটক


ভোলার তজুমদ্দিনে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জলদস্যু বাহিনীর ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল হক প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। আটককৃত জলদস্যুরা হলেন, লোকমান মাঝি (৩২), রিয়াজ (৩১), মো. কালাম হোসেন (৩০) ও মো. মিরাজ (৩০)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি আনোয়ারুল হক জানান, গত ৬ জানুয়ারী উপজেলার চরমোজাম্মেল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ ধরারত জেলেদের ট্রলারে রাত ১১টায় হামলা চালায় মেঘনার জলদস্যু ফোরকান বাহিনী।
এ সময় দস্যুরা জেলে ট্রলারে থেকে শরীয়তপুর জেলার সখীপুর থানার তারাবুনিয়া এলাকার জেলে আ. হাই (৫০) ও মো. ইউসুফ আলী (৪৫) নামের দুই জেলেকে অপহরণ করে নোয়াখালীর দিকে নিয়ে যায়।
পরে মোবাইল ফোনে জলদস্যুরা জেলেদের আড়ৎদারের নিকট ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। পরে আড়ৎদার জলদস্যুদের দাবী অনুযায়ী বিকেলে ও নগদের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা দিলে দস্যুরা অপহরণকৃত জেলেদের নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানাধীন সূর্যমুখী ঘাট এলাকা ফেলে দেয়।
পরে আড়ৎদার জেলেদের সাথে যোগাযোগ করে ৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় হাতিয়া থানার তমুরউদ্দিন ঘাট হতে উদ্ধার করে তজুমদ্দিনে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় ১০ জানুয়ারী শশীগঞ্জ সুইজঘাটের আড়ৎদার মো. সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জনকে আসামি করে তজুমদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি লোকমান মাঝিকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর থানার আনন্দ বাজার এলাকার বিভিন্ন বাসায় অভিযান করে ফোরকান বাহিনীর আরো ৩ জলদস্যুকে আটক করা হয়। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হব ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন ওসি।
এইচকেআর
