ঢাকা রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়ে আলোচনায় তানিয়া আরজুমান্দ ববি

সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন জমা দিয়ে আলোচনায় তানিয়া আরজুমান্দ ববি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

দক্ষিণাঞ্চল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন অন্তত একশত নারী। যাদের মধ্যে রয়েছেন দলের জন্য নিবেদীত প্রাণ এবং রাজপথের নেত্রী। তাদেরই একজন তানিয়া আরজুমান্দ ববি। 

যিনি বরিশাল জেলা থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর এ নিয়ে অনেকটা হইচই লেগে গেছে বরিশালের রাজনীতির মাঠে। কেননা তানিয়া আরজুমান্দ ববি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। যা বাবা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্মম নির্যাতন এবং কারা বরণ করেছেন। তার ওপর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে ছাত্র জীবন থেকেই রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন ববি।

বর্তমানে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। যে কারণে রাজনৈতিক, সাংগঠনিক, পারিবারিক এবং জনপ্রিয়তার বিবেচনায় মনোনয়ন লড়াইয়ে আলোচনায় রয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, ‘বরিশাল নগরীর মেয়ে তানিয়া আরজুমান্দ ববির শৈশব, কৈশর কেটেছে এই শহরেই। ববির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু ছিলেন বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি। 

জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন লোক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু।
আলাপকালে তানিয়া আরজুমান্দ ববি মতবাদকে বলেন, ‘বরিশাল শহড়ের প্রতিটি অলি-গলিতে আমার অসংখ্য মধুর স্মৃতি রয়েছে। বরিশাল আমার প্রাণের শহর। দুঃখের স্মৃতি বাবাকে হারানো।

তিনি বলেন, আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা দুই ভাই-বোন খুব অল্প বয়সে আমাদের বাবাকে হারিয়েছি। মৃত্যুর ৭ মাস আগেও তিনি বাকেরগঞ্জ থেকে ১১০০ নেতা-কর্মী  নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে, তখনকার বিরোদী দলের নেত্রী আমাদের মাননীয় নেত্রী  শেখ হাসিনা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের হাতে তুলে দিয়েছেন।

তিনি সব সময়েই আমাকে বলতেন, ‘আম্মু’ তোমাকে রাজনীতি করতে হবে। আমি আমার পরিবারে দেখেছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা, সে থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুকে আমার হৃদয়ে লালন করেছি।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্মীবান্ধন নেত্রী, তিনি যোগ্যতার মূল্যায়ন করেন। আমার বাবা যদি আজ বেঁচে থাকতেন, আমার বিশ্বাস নেত্রী যেভাবে তাঁর সহযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করেছেন, তেমনি আমার বাবাকেও মূল্যায়ন করতেন।

তানিয়া আরজুমান্দ ববি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধেই অংশ নেননি বাবা। যুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘিরেও জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাবা। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমাভাবে হত্যার প্রতিবাদে আমার বাবা রাজপথে নেমে ছিলেন। এজন্য অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। দীর্ঘ নয় মাস জেলও খাটতে হয়েছে বাবাকে।

ববি বলেন, ‘বাবা শুধু রাজনীতিই করতেন না, অসহায়দের জন্য উদার মনের মানুষ ছিলেন তিনি। নিজ অর্থায়নে মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। বাবার কাছ থেকেই আমি শিক্ষা পেয়েছি সততা এবং মানবতার। সেই সততা নিয়েই মানবতার মা আমাদের স্বার্থক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে দলের জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন