গৌরনদীতে উদ্ধারকৃত বোমা নিস্ত্রিয়’র সময় বিস্ফোরণে পুলিশের দুই সদস্যসহ ৩ জন আহত

বরিশালের গৌরনদীতে উদ্ধারকৃত বোমা নিস্ক্রিয়’র সময় বিস্ফোরণে পুলিশের এক এসআই ও কনেস্টবলসহ তিনজন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন-গৌরনদী থানার এসআই মো. কামাল হোসেন (৪২), কনেস্টবল মো. মিজানুর রহমান মিজান (৩০) ও বড় কসবা এলাকার মৃত রাজু হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার (৩৫)।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা এলাকায় মাসুম হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত এসঅই কামাল হোসেন, কনেস্টবল মো. মিজানকে বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে ও বাড়ির মালিক মাসুম হাওলাদারকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গৌরনদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো, মাজহারুল ইসলাম জানান, পৌরসভার বড় কসবা এলাকার মাসুম হাওলাদার ঘুম থেকে জেগে মঙ্গলবার সকালে ঘরের বাহিরের ২টি বাথরুমের (টয়লেট) একটিতে তালা ঝুলতে দেখে।
এরপর হাতুড়ি দিয়ে মাসুম হাওলাদার ওই বাথরুমের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে একটি বাজারের ব্যাগ দেখতে পায়। তখন ওই ব্যাগের ভেতর গাছের গুড়ির মধ্যে বোমা সদৃশ কয়েকটি বস্ত দেখতে পেয়ে তিনি (মাসুম) থানা পুলশকে খবর দেয়। থানার এসআই মো. কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাসুম হাওলাদারের বাড়িতে পৌছে।
এ সময় বাড়ির মালিক মাসুম হাওলাদার পুলিশের উপস্বিথতিতে বাথরুম থেকে ওই ব্যাগটি বের করে পানি ভর্তি বালতির মধ্যে ঢালার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে (বোমা বিস্ফোরনে) বাড়ির মালিক মাসুম হাওলাদার, থানার এসআই মো. কামাল হোসেন, কনেস্টবল মো. মিজানুর রহমান মিজান গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষনিক আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সাবির্সেরকর্মী ও স্থানীয়রা গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশের ওই ২ সদস্যকে বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে ও বাড়ির মালিক মাসুমকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
গৌরনদী থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ৪/৫টি বোমার আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে। উদ্ধারকৃত আলামত গুলো হচ্ছে জর্দার কৌটা, জালের কাঠি, ছোট লোহা, গুনা, কশটেপ।
গুরুতর আহত থানার এসঅই কামাল হোসেন, কনেস্টবল মো. মিজানকে বরিশাল পুলিশ হাসপাতালে ও বাড়ির মালিক মাসুম হাওলাদারকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি আনোয়ার হোসেন জানান।
এইচকেআর