আগৈলঝাড়ায় গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক ১

আগৈলঝাড়ায় অহরহ ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। এতে গরুর খামারী ও গৃহস্তদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
চুরি ঠেকাতে গোয়াল ঘরেই গরুর সাথে রাত কাটাচ্ছে অনেক খামারীরা। পুলিশের দাবি চুরি ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার ভোর রাতে উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের সম্রাট বিশ্বাসের গোয়াল ঘর থেকে বিদেশী জাতের একটি গরু সংঘবদ্ধ চোরের দল চুরি করে পিকাপ ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে মটরসাইকেলে ধাওয়া করে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার জোগাড়চর গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে গরু চোর চক্রের সদস্য রাছেল মাহমুদ ভুইয়া (৪৫)কে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।
এসময় চোর চক্রের অন্য সদস্যরা গরু নিয়ে সড়ক পথে অন্যত্র পালিয়ে যায়। একই রাতে ওই গ্রামের জগদীশ হালদারের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে গরু চুরির সময় কুকুরের ডাক চিৎকারে চোরেরা পালিয়ে যায়। এছাড়াও রাজিহার গ্রামের স্বপন হালদারের ২টি গরু ও ডাসার গ্রামের গোপাল মন্ডলের ১টি গাভী ও ২টি ষাড় গরু চুরি হয়।
গত এক সপ্তাহে উপজেলার পাকুরিতা গ্রামের বিধান মন্ডলের ১টি গরু, আহুতি বাটরা গ্রামের উত্তম মজুমদারের ২টি গরু, বারপাইকা গ্রামের বিষ্ণু বাড়ৈর ১টি গরু, গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামীম ফরিয়ার ৩টি গরু, ভালুকশী গ্রামের অজু হাওলাদারের ১টি গরু, রামশীল জয়ধর বাড়ীর ২টি বিদেশী জাতের ১টি গাভী চুরি হয়েছে।
পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের সম্রাট বিশ্বাস জানান, বুধবার গভীর রাতে আমার গোয়াল ঘর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা দামের একটি বিদেশী গরু চোরের দল নিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা এক চোরকে আটক করতে পারলেও গরুটি নিয়ে চোরের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। একই গ্রামের গরুর মালিক পার্বতী হালদার জানান, প্রতিরাতেই কোন না কোন বাড়ির গরু চুরি হচ্ছে। তাই গরু চুরির হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন রাতেই বসত ঘর ছেড়ে গরুর সাথে গোয়াল ঘরে ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছি।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার জোগাড়চর গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে গরু চোর রাছেল মাহমুদ ভুইয়াকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া চুরি ঠেকাতে টহল বাড়ানোসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এইচকেআর