উজিরপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কুড়লিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক অমুল্য রতন বিশ্বাস ও সাবেক সভাপতি ডা. এইচএন সরকারের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের কুড়লিয়া পানবাড়ী বাজারে সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে অচিন্ত বাড়ৈর নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অরবিন্দ সরকার, সাবেক ইউপি সদস্য সবিতা রানি বাড়ৈ, উত্তম মধু, দুলাল শিউরি, অসিম রায়, হরশিৎ হালদার, জগদীশ সরকার, নিমাই বৈদ্য,ইউপি সদস্য দুলাল ওঝা, শিপুল বাড়ৈ, সুসান্ত কুমার বাড়ৈ,অঞ্জনা ঢালীসহ শত শত নারী-পুরুষ।
বক্তারা বলেন, ওই স্কুলের কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় পরেও কাগজ পত্র উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা না দিয়ে কমিটি বানচাল করার চেষ্টা করছে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি ডা. এইচএন সরকার।
তারা বলেন, ভারতের দ্বৈত নাগরিক সুমন বালাকে দিয়ে কমিটি বানচালের জন্য বরিশাল আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সুমন মামলা দায়ের করে ভারতে পাড়ি জমায়। বক্তারা বহিরাগত কাউকে সভাপতি চাননা তারা।
উল্লেখ্য ৫ ফেব্রুয়ারি কুড়লিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমাদানের তারিখ নির্ধারণ ছিলো ৭-৮ ফেব্রুয়ারি এবং জমাদানের শেষ দিন ১১ ফেব্রুয়ারি। বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৪ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি। তপসিল ঘোষণার অভিভাবকদের মধ্যে ৯ জনে ফরম ক্রয় করে জমা প্রধান করে।
এরই প্রেক্ষিতে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে স্কুল সভাকক্ষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে বিমল হালদার, অমল ওঝা, শ্যামল হালদার,স্বর বালা ও সবিতা হালদারকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও মামলা তুলে নেয়ার কথা বলেও তালবাহানা করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অমুল্য রতন বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অমুল্য রতন বিশ্বাস বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ায় এবং এসএসসি পরীক্ষার কারনে আগামী রোববার মামলা তুলে নেয়ার জন্য বরিশাল আদালতে যাবো।
সাবেক সভাপতি এইচএন সরকার জানান, নির্বাচনের জন্য প্রধান শিক্ষককে বলে দিয়েছি। এতে আমার কিছুই করার নেই। নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়িত্ব প্রধান শিক্ষকের। তবে অভিযুক্তরা একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম জাহিদ হোসেন জানান, বারবার নির্দেশ দেয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক কোন কর্নপাত করচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
এইচকেআর