ঢাকা বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ভোলা উপকূলে মাইকিং

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ভোলা উপকূলে মাইকিং
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় তিন ধাপের প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলার জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় এবং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এই তিন ধাপের প্রস্তুতির মধ্যে প্রথম ধাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে।

এছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবীকে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএম দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, ৮৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৪৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব কর্মকর্তাদের সতর্ক রাখা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বিষয়ে সতর্ক করতে শনিবার (২৫ মে)  সকাল থেকেই উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে অবস্থান করতে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড। সদরের তুলাতলিসহ বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক করছে কোস্টগার্ড।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান বলেন, জেলার ৩৩৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে, এসব বাঁধ মোটামুটি সুরক্ষিত রয়েছে। কোথায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ নেই। তারপরেও বিষয়টির মনিটরিং করা হচ্ছে।

এদিকে ঝড় নিয়ে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠার কথা জানান উপকূলের মানুষ। লোকমান, জাহিদ ও মোতাজার বলেন, ঝড় আসবে এমন খবর পেয়েছি আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।

ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মো. মনির বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। বিকেল ৩টা নাগাদ ঝড়টি পায়রা বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন