ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • বিচারক রকিবুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন পিপি কাজী বসির উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ বিএনপি এখন চাঁদাবাজদের দলে পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম বরিশালে জাল টাকা ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক ৪ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া: ভোলার ১০ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিসে আগুন, পুড়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সাঈদ-মুগ্ধদের ‘জাতীয় শহীদ’, ড. ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা কেন নয় বরিশালের ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা মিটফোর্ডে হত্যার শিকার সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি পিরোজপুরে পথসভা থেকে ফেরার সময় এনসিপি নেতার ওপর হামলা
  • মিয়ানমারে সংঘাত: ফের গোলা বর্ষণের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ

    মিয়ানমারে সংঘাত: ফের গোলা বর্ষণের শব্দে কাঁপছে টেকনাফ
    রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড। r ছবি সংগৃহীত
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    টেকনাফ সীমান্ত এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার পর থেকে দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত মিয়ানমারের কাউয়ারবিল এবং পেরাংপুরু এলাকায় একের পর এক গোলা বর্ষণের বিকট শব্দ শোনা গেছে। এক ঘণ্টা বিরতির পর আবার বুধবার (২৬ জুন) ভোর থেকে থেমে থেমে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোলা বর্ষণের শব্দ শোনা যায়। 


    টেকনাফের মানুষ বলছেন, এরকম বিকট শব্দ আর কখনো শোনেননি। সারারাত ধরে কেউ ঘুমাতে পারেনি।


    সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, মঙ্গলবার বিকেলের পর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাতভর চলা বিস্ফোরণ এর আগে এমন তীব্র ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষ পুরো রাত ঘুমহীন ছিলেন।

    শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়ার ব্যবসায়ী নুরুল আমিন জানান, মিয়ানমারে সংঘাতের পর এমন বিকট শব্দ এর আগে আর শোনা যায়নি। সীমান্তের ওপারে সকালের পর যুদ্ধ বিমানও দেখা মিলেছে। ঘুমহীন রাত অতিবাহিত হওয়ার পর সীমান্তের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।

     
    সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জের ধরে নাফ নদীর ওপারে মংডু শহরের নিকটবর্তী খায়েনখালী খালের পাশে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা রয়েছে। এরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সীমান্ত এলাকার লোকজন।

    টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকার লোকজন ও জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য বলছে, গত ১৮ জুন মঙ্গলবার সকাল থেকে মিয়ানমারের ওপার থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। যা শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। এর আগে ১৫ জুন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। ১৬ জুন, রোববার ও ১৭ জুন, সোমবার (ঈদের দিন) আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। ঈদের পরের দিন ১৮ জুন, মঙ্গলবার থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় থেমে থেমে। সর্বশেষ শুক্রবার থেকে মাঝরাতে মর্টার শেল ও শক্তিশালী গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণের ঘুম ভাঙে টেকনাফ সীমান্তে বাসিন্দাদের। শুক্রবার রাত দেড়টার পর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে বিকট শব্দ ভেসে আসে। মাঝরাত থেকে শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। শনিবারের পর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার থেকে আবারও শোনা যাচ্ছে।

    সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, দুই দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফ নদীর ওপারে নৌকায় রোহিঙ্গাদেরও দেখা গেছে বলা হচ্ছে। অনুপ্রেবশ ঠেকাকে সীমান্ত এলাকার লোকজনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।


    টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, মংডু শহরের খায়েনখালী খালটি নাফ নদীর মোহনা। ওপারে মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণের শব্দের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের অবস্থান শোনা যাচ্ছে। তবে নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের লোকজনের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্টগার্ড বাহিনী। গোয়েন্দা নজরদারি, টহলও বাড়ানো হয়েছে।

    টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, নাফ নদীতে মিয়ানমারের জলসীমায় রোহিঙ্গাদের নৌকা রয়েছে। যারা অনুপ্রবেশ করতে পারে। কিন্তু আর কোন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও কোস্টগার্ড। নাফ নদীতে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।

    শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত চলছে। কিন্তু সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের অবস্থান কঠোর থাকায় এখনও পর্যন্ত নতুন করে কোন রোহিঙ্গা ঢুকতে পারেনি।


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ