মঠবাড়িয়ায় জমি দখলের ঘটনায় থানায় অভিযোগ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি পেশী শক্তির মাধ্যমে দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছেন আ’লীগের এক প্রভাবশালী নেতা।
বর্তমানে ওই বাড়ি নির্মাণে সহযোগিতা করছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রুহুল আমিন দুলাল। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় পৌর শহরের নিউ মার্কেট ইসমাইল ম্যানসনে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন এ অভিযোগ করেন।
ইসমাইল উপজেলার উত্তর মিঠাখালী (মাঝেরপুল) গ্রামের মৃত. হাজী সোনামুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে জেএল-২১, এস এ খতিয়ান-৬৫, দাগ নম্বর-১১১৪, মঠবাড়িয়া মৌজায় পৈত্রিক সূত্রে সাড়ে ১৪ শতাংশ জমি রয়েছে।
আমার এ জমির পাশে জনৈক শহীদ ডাক্তারের নিকট থেকে ভান্ডারিয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম ৮ কাঠা জমি ক্রয় করেন।
আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় পেশী শক্তির জোড়ে আমার জমিও বাউন্ডারী দিয়ে দখলে নেয়। ওই জমির ওপর বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ করলে শুরু থেকেই আমি বাঁধা দিয়ে আসছি। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আ’লীগের ওই প্রভাবশালী গ্রুপ আত্মগোপনে যায়। এর পর আ’লীগ নেতার বাড়ি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রুহুল আমিন দুলাল।
তার আশ্বাসে গত ৩ সেপ্টেম্বর শ্রমিকরা পুনরায় কাজ শুরু করলে প্রতিবাদ করলে শ্রমিকরা প্রথমে কাজ বন্ধ রাখে। সংবাদ পেয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রুহুল আমিন দুলালের অনুসারী মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, পৌর স্বেচ্ছা সেবক দলের সাবেক সভাপতি খাইরুল আমীন পিন্টুসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন সন্ত্রাসী জমির কাছে গিয়ে আমাকে এবং সাথে থাকা পৌর সভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছরোয়ার হোসেন সগীরকে গালমন্দ ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
প্রাণ ভয়ে প্রথমে সেনা ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে তারা থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। পরে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এসময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
বাঁধা প্রদানের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে ওই নেতার অনুসারী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেনের ব্যবহৃত অনলাইন পেইজ “এএম টিভি” এবং পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ এর “এম২৪ টিভি ডট নিউজ ডট কম” নামে পেইজ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে উদ্যেশ্য প্রণোদিত বানোয়াট ভিডিও সংবাদ প্রচার করে।
এব্যপারে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমিন দুলাল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে কোন ব্যক্তি দখল বাণিজ্য করলে বাঁধা দিতে হবে। ইসমাইল ও সগীর নামে দুই ব্যাক্তি সেখানে গিয়ে চাঁদা দাবী করেছিলেন। তাই আমার কর্মিরা বাঁধা দিয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়া উদ্দিন বলেন, ইসমাইল হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এইচকেআর
