ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news

ইন্টারনেট সেবায় নতুন কর প্রত্যাহার না করলে এনবিআর ঘেরাও

ইন্টারনেট সেবায় নতুন কর প্রত্যাহার না করলে এনবিআর ঘেরাও
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন আয়োজিত মানববন্ধন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবায় আরোপিত নতুন কর (সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট) প্রত্যাহার না করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি ঘোষণা দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশের মোবাইল ও ইন্টারনেট খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে কর আরোপ করার প্রতিবাদে রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এমন হুঁশিয়ারি দেন।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, ‘নতুন করে করের বোঝা শুধু জনগণকেই ভোগান্তিতে ফেলবে না, সরকারকেও ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাবে। হঠকারীমূলক সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে’।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইআইজিএবি) ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবাখাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে।

এখন আবার নতুন করে ১০ শতাংশ সম্পূরণ শুল্ক ও সাথে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) যুক্ত করায় গ্রাহকে ভোগান্তি যেমন বাড়বে একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) কার্যালয় ঘেরাও করবো।

ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি মো. এমদাদুল হক বলেন, আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তারা যেভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ বাড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে।

প্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তা ও বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, কারও সাথে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় কর আরোপ করা এক ধরনের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সাথে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারও সাথে আলোচনা না করে রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার জনগণের সাথে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করলো। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করাসহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।

অনুষ্ঠানে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফিদা হক, পাঠাও -এর সিইও ফাহিম আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


কে.আর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন