ঢাকা শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

Motobad news

মামলার আসামি বিএনপি নেতা বললেন, ‘তাঁকে না জানিয়ে এলে পুলিশ সদস্যদের বেঁধে রাখবেন’

মামলার আসামি বিএনপি নেতা বললেন, ‘তাঁকে না জানিয়ে এলে পুলিশ সদস্যদের বেঁধে রাখবেন’
মন্টু হাওলাদার/ ছবি সংগৃহীত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দুই সহোদরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করেছেন। ওই ঘটনার জেরে বিএনপি নেতা পুলিশের উদ্দেশে বলেছেন, তাঁকে না জানিয়ে এলে পুলিশ সদস্যদের বেঁধে রাখবেন।

এ ছাড়া এক লাখ টাকা দিলে তিনি মামলার বিষয়টি সমাধান করবেল বলে জানিয়েছেন। তাঁর ওই কথোপথনের অডিও রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিএনপির ওই নেতার নাম মন্টু হাওলাদার (৪৫)। তিনি নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর পদ্মডুবী ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি পদ্মডুবী এলাকার মৃত আনোয়ার হাওলাদারের ছেলে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে মন্টু হাওলাদার ২১ জানুয়ারি হাইউম ও তাঁর ভাই কাইউম নামের দুই যুবককে পিটিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় হাইউম নাজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন মন্টু হাওলাদার। ওই ঘটনায় দুই দিন আগে তাঁর মুঠোফোনে কথোপকথনের একটি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মন্টু হাওলাদার মুঠোফোনে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলছেন। 

তাঁকে বলতে শোনা যায়, এ জগতে যারা আছে, তাদের মধ্যে আমরাই ভালো মানুষ। এর থেকে ভালো মানুষ এহন আর নাই। আমাগো ধারেই আচার-বিচার সব আসে, আর আইবেও। আমরা পুলিশকে আইতে কইলে আইবে, না কইলে আইবে না। আমাগো কথা ছাড়া পুলিশ আইলে জায়গার ওপর বাইন্দা থুমু। আমাগো এক লাখ টাকা দিলে এই কেসটা আমরা দেখমু।

এ সময় মন্টু হাওলাদার আরও বলেন, পুলিশের কাছে মামলা করতে গেছে, আমার নাম শুনে মামলা নেয় নাই। ফাঁড়ি থেকে ফোন করে আমাকে বলছে মামলা নেয় নাই। ডিসি, থানা, ফাঁড়ি—সব বুকিং করে ফেলাইছি ফোনে। ইদ্রিস ডাক্তার এ ফয়সাটা করে দেবে, দুই গ্রুপই বিএনপির।

মারধরের শিকার হাইউলের বাড়ি পদ্মডুবী এলাকায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, মন্টু ও তাঁর বাহিনী এলাকায় অনলাইন জুয়া, চাঁদাবাজিসহ মানুষকে নানা হুমকি দেন। আমি তাঁর এই সব কর্মকাণ্ডের ভিডিও করি। মন্টু এসব জেনে আমাদের দুই ভাইকে পদ্মডুবী বাজারে এনে ভিডিও, অডিও ডিলিট করতে বলেন। এগুলো ডিলিট না করায় আমাদের ওপর হামলা করা হয়। তাঁর অডিও এবং ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ায় আমাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেন।

এ বিষয়ে জানতে গতকাল মঙ্গলবার মন্টু হাওলাদারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, মন্টু হাওলাদারের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। তদন্ত চলমান, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অডিওটির বিষয়ে খতিয়ে দেখব। আইন হাতে তুলে নেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। পুলিশ কোনো ব্যক্তিবিশেষের কথায় পরিচালিত হয় না।


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন