বাবুগঞ্জে সর্দি-জ্বরের প্রাদুর্ভাব, লকডাউনের ভয়ে নমুনা দিতে অনীহা


বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরে অনেকে ভুগছেন। এ সব পরিবারের সদস্যদের সামান্য করোনা উপসর্গ থাকলেও আমলে নিচ্ছেন না তারা। সাধারণ জ্বর হলেই গ্রামের পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, যদি নমুনায় পজিটিভ আসে তখন তো পুরো পরিবার নিয়ে আইসোলেশনে থাকতে হবে। এমনকি বাড়িটি লকডাউনও ঘোষণা করতে পারেন সংশ্লিষ্টরা ।
এতে দৈনন্দিন কাজ-কর্ম নিয়ে বিপাকে পড়বেন। এ ভেবেই অনেকেই নমুনা টেস্টে অনীহা করছেন । সর্দি-জ্বর এখন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। করোনা উপসর্গ থাকলেও ভয়ে নমুনা দিতে আগ্রহ নেই তাদের। ফলে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে গ্রামগঞ্জের পাড়ায় পাড়ায়। সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সামান্য জ্বর হলেও তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাজারে বাজারে। বরিশাল জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের তথ্য অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৪ জন, শুক্রবার ১ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত মোট বাবুগঞ্জ উপজেলায় ২৬৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সরেজমিনে শুক্রবার সন্ধ্যার পর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্টলে স্টলে চলছে জমজমাট চায়ের আড্ডা। এসব স্টলে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই জন-সমাগম ঘটিয়ে স্টলগুলোয় টিভি ছেড়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে আড্ডা। সচেতন মহল বলছেন, করোনার সংক্রমণ কমাতে প্রশাসন এসব স্টলগুলোয় জোরালো বিধিনিষেধ আরোপ করা দরকার। প্রয়োজনে রাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে সচেতন মহল মনে করেন । তা না হলে গ্রামে গ্রামে করোনায় আক্রান্তের পরিণতি ভয়াবহের দিকে যেতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুবাস সরকার এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত কিনা , তা দ্রত সময়ে চিহ্নিত করার জন্য এন্টিজেন টেস্ট ব্যবস্থা। এ টেস্টের ফলে রোগীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দিতে সুবিধে হয়। বরিশালে করোনা সংক্রমরে হার এখনো বেশি থাকলেও সে তুলনায় এন্টিজেন টেস্ট হচ্ছে কম। তিনি জানান, মহামারি করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেককেই স্বাস্থ্য প্রণোদিত হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এছাড়াও উপসর্গ দেখা দিলেই নমুনা দিতে হবে। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ব্যবস্থা নিয়ে করোনা মোকাবিলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
এমবি
