ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

লকডাউন বাস্তবায়নে ‍একযোগে ১৫ ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রচারাভিযান

লকডাউন বাস্তবায়নে ‍একযোগে ১৫ ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রচারাভিযান
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সরকার ঘোষিত শাটডাউন কার্যকরে বরিশাল নগরীসহ জেলাজুড়ে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার বেলা ১১টা থেকে প্রতিটি জেলা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১৫টি মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। এতে সহযোগিতা করে বরিশাল মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের সদস্যরা। অভিযানের শুরুর দিনেই নগরীর রোডঘাট অনেকটা ফাঁক হয়ে যায়। পূর্বের ন্যায় চলাচল করতে দেখা যায়নি যানবাহন। কিছু রিকশা-ইজিবাইক এবং থ্রি-হুইলার ছাড়া অন্য গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি।

এসময় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অপ্রয়োজনে যানবাহন এবং মানুষের ঘোরাফেরা বন্ধ ও দোকানপাট, মার্কেট, শপিংমল বন্ধ রাখতে তদারকি করেন তারা। পাশাপাশি অভিযানকালে করোনা সচেতনতায় মাস্ক পরার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে শ্রমিজীবীদের মাঝে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ করেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ‘দুপুর ১টার দিকে বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈর নেতৃত্বাধিন টিম। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাহাতুল ইসলাম, মারুফ দস্তগীর, আতাউর রাব্বি ও সমাপ্তি রায়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় এই অভিযানকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্ত্বর থেকে ফজলুল হক এভিনিউ, বটতলা বাজার, চৌমাথা বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, নতুন বাজার, জেলখানার মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

অপরদিকে, ‘মহানগরীর বাইরে জেলার ১০টি উপজেলায় এক যোগে লকডাউন বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা পুলিশের সদস্যরা। প্রথম দিনের অভিযানে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং লকডাউন চলাকালে গণপরিবহন চলাচল, মার্কেট-শপিংমল বন্ধ রাখা। খাবার হোটেল বা রেস্তোঁরায় বসিয়ে খাবার বিক্রি না করাসহ বিভিন্ন দিক নির্দেশন দেন তারা।

এদিকে, সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘প্রশাসনের অভিযান এবং শতর্কতার কারণে দুপুরের পূর্বেই ফাঁকা হয়ে যায় বরিশাল নগরী। সকালে সদর রোড এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট খোলা হলেও দুপুরের আগেই তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। মানুষের চলাফেরাও ছিল একেবারেই কম। যারা প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়েছেন তারা মাস্ক পরে ছিলেন। যানবাহনের দৌরত্ম না থাকায় ফাঁকা হয়ে যায় ব্যস্ততম সদর রোডসহ আশপাশের এলাকাগুলো।
 


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন