চিকিৎসার অভাবে ধুকছেন ‘পিঠা খালা’ রেহেনা : মেয়রের সাহায্য কামনা


চিকিৎসার অভাবে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন অসহায় রেহেনা বেগম ৪৫)। জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ জটিলতায় ভুগছেন দীর্ঘ সাড়ে ১১ মাস। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন প্রয়োজন হলেও অর্থাভাবে আটকে আছে সেটি।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।
বরিশাল মহানগরীর ৯নং ওয়ার্ডের নাগরিক রেহেনা বেগমের বর্তমান আবাসস্থল বাজার রোড এলাকায়। যিনি কিনা বরিশালের মিডিয়াকর্মীদের অন্যতম মিলনস্থল আগরপুর রোডে পিঠার ব্যবসাও করতেন। সেখানে অনেকেই ‘চটা পিঠা খালা’ নামে তাকে চেনেন। তবে বর্তমান শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই ক্ষুদ্র ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে তার।
১ ছেলে সন্তানের এই জননী বিয়ের পর থেকেই লড়ছেন দারিদ্র্যতার সঙ্গে। কখনও ফেরি করে বিক্রি করেছেন লেবু, কাঁচামরিচ, শাকসবজি। আবার কখনও করেছেন রাজমিস্ত্রীর কাজে জোগান দেয়া বা ইট ভাঙার মত কঠিন পরিশ্রম।
বিয়ের কিছুদিন পরই স্বামী ছেড়ে যান তার সংসার। বিয়ে করেন আরেকটি। যদিও মাসে-২ মাস অন্তর অল্পকিছু আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন রেহেনাকে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেন এই নারী। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে জরায়ুতে বিশেষ যন্ত্র (মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট) স্থাপন করান। কিন্তু সেই কপাটিই কাল হয়েছে তার।
কঠিন পরিশ্রমের কাজ করতে গিয়ে সেই মেটালিক ইমপ্ল্যান্ট এখন ইউটেরাসের টিউব গেথে গেছে। যার ফলে ভেতরগত রক্তক্ষরণের শিকার হন রেহেনা। চিকিৎসকের মতে যতদ্রুত সম্ভব অপারেশন প্রয়োজন তার। যদিও সেই অপারেশন বিনামূল্যেই করে দিবে শেবাচিম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু চেয়েচিন্তে পাওয়া সাহায্য নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে কোনমতে জীবন ধারণ করছেন যে নারী, তার পক্ষে অপারেশন পরবর্তী প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যয়ভার বহন করা এক কথায় অসম্ভব।
এদিকে টিউবে ইনফেকশন ঘটে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমন অবস্থায় চোখে অন্ধকার দেখছেন রেহেনা।
এক প্রশ্নের জবাবে রেহেনা বলেন, অর্থসাহায্য চেয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয় বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রায় ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও কোন সাড়া পাইনি। হয়ত আমার আবেদন সঠিক হয়নি, বা জমা পড়েনি। নিরক্ষর বলে এসব বিষয়ে ঠিক বুঝতেও পারিনি।
তাই আপনাদের (প্রতিবেদক) মাধ্যমে মেয়র স্যারের কাছে অর্থসাহায্য চেয়ে আবেদন জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস বর্তমান মেয়র স্যারের বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে তিনি অবশ্যই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। আর আমি পাব নতুন করে বাঁচার আশা।
রেহেনা বেগমের মোবাইল নম্বর : ০১৩০০-৬৯৮৪৫৮
এমবি
