হিজলায় পরকীয়ায় আসক্ত গৃহবধূকে শিকলবন্দি


বরিশালের হিজলা উপজেলায় পরকীয়া প্রেমে পাগল ৫ সন্তানের জননী। পায়ে শিকল দিয়ে বেধে ঘরের মধ্যে রাখা হয়েছে আটক করে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায় উপজেলার গুয়াবাড়িযা ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামের লিটন হাওলাদারের স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী রুপনী বেগম পার্শ্ববতি মাউলতলা গ্রামের আলমগীর তালুকদারের ছেলে সোহেল তালুকদারের সাথে এ পরকীয়া প্রেমে জড়ায়।
এ ব্যাপারে রুপনী বেগমের সাথে আলাপকালে তিনি জানান ছয় মাস পূবে গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহজাহান তালুকদারের ভাতিজা সোহেল তালুকদার ওই এলাকায় গিয়ে বি জি ডি কাড দেওয়ার তালিকা করে।তখন তার সাথে সোহেলের পরিচয় হয়।পরিচয় সুবাধে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক্য গড়ে উঠে।এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সোহেল তার সাথে একাধিক বার দৈহিক মিলন করে।
তাছাড়া সোহেল ১০ জনের নামে বিজিডি কাড ও ১০ জনের নামে রেশন কাড দেওয়ার কথা প্রতিজন থেকে নগদ অর্থ আদায় করে। এছাড়াও সোহেল তার কাছ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ধার নেয়।কিন্তু সোহেল কাউকে ভিজিডি ও রেশন কার্ড করে দিতে পারেনি।
কিছুদিন আগে রুপনী বেগম সোহেল কে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।তখন সোহেল পরকীয়া প্রেম অস্কীকার করে।গত ২৭ জুন রুপনী বেগম বিয়ের দাবিতে সোহেলের ঘরে উঠলে সোহেল পালিয়ে যায়।এ সময় সোহেলের পরিবার রুপনীকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়।এ সংবাদ পেয়ে রুপনীর ভাই তাওহিদুল ইসলাম তার বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে তার ভাই জানান সোহেলের পরিবার এলা্কার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি। উপায় না পেয়ে আমার বোনকে ঘরের মধ্যে শিকল দিয়ে বেধে রাখি। এ ব্যাপারে স্বামী লিটন হাওলাদার বলেন গত শুক্রবার তার স্ত্রী তাদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ ঘটনার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ঘটনার বিষয়ে জানতে সোহেলের নিকট একাধিক বার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসিম কুমার সিকদার জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থানে ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এমবি
