মানবিক সহায়তা পেল জলে ভাসা মান্তা সম্প্রদায়

জলে ভাসা মান্তা সম্প্রদায় সব চাইতে অবহেলিত জনগোষ্ঠি। এদের বাড়ি নেই, ঘর নেই। আজন্ম নৌকাতেই বাস। নদীই এদের জীবন। করোনা ভাইরাসের ( কোভিড-১৯) বিরুপ প্রভাবে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপদে পড়ে জলে ভাসা মান্তারা। বেকার সময় কাটছে মান্তা পরিবারের সব সদস্যদের।
বিতরণ করা খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১২ কেজি চাল, ৬ কেজি আটা, ৩ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিড়া, ছয়টি সাবান ও ৫০০ গ্রাম সুজি। বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার জাবেদ হোসেন চৌধুরী, ইয়ুথনেটের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান ও শাকিলা ইসলাম, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হান্নান হাওলাদার, ইউপি সদস্য হিরণ বেগম প্রমুখ।
মান্তা সরদার জসিম উদ্দীন জানান, আমরা না পারছি কোন আয় রোজগার করতে, না পারছে খেতে । লকডাউনে খাবারের চরম অভাব দেখা দিয়েছিল। এই বিতরণকৃত খাদ্য সহায়তায় আমরা খুবই উপকৃত হয়েছি। আমাদের দুয়ারে এই সহায়তা পৌঁছে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি আমাদের অবহেলিত মান্তা সম্প্রদায়ের পুর্ণবাসনের দাবি জানাচ্ছি।
ইয়ুথনেটের সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান জানান, খাদ্য সহায়তা নিয়ে শাটডাউনের সময় পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও ইউএনডিপি। স্থানীয় প্রশাসন ও ইউএনডিপি’র সহযোগী বেসরকারি সংস্থাদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নেত্রকোনা, বরিশাল ও রংপুরে চলমান শাটডাউনের মধ্যে ৬০০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ চলছে যাতে সহায়তা করছে সুইস ডেপলাপমেন্ট কর্পোরেশন (এসডিসি)। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কমপক্ষে ২০,০০০ মানুষ খাদ্য সহায়তা পেয়ে উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বরিশাল জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে লিড সংস্থা আভাস’র আয়োজনে বরিশাল জেলার ৬ উপজেলার বরিশাল সদর, বাকেরগঞ্জ, বানারীপাড়া, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, হিজলা উপজেলা এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার কভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ২০০০ জনকে কভিড-১৯ হিউম্যান রাইটস রেসপন্সের খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়।
এইচকেআর