ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

ঠাঁই নাই শেবাচিমের করোনা ইউনিটে, সদর হাসপাতালে নতুন ওয়ার্ড চালু

ঠাঁই নাই শেবাচিমের করোনা ইউনিটে, সদর হাসপাতালে নতুন ওয়ার্ড চালু
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

দক্ষিণাঞ্চলে উদ্বেগজনকহারে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে সরকারি সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম)। চলমান ঢেউয়ে ইতিমধ্যে শেবাচিমের পাঁচ তলা বিশিষ্ট ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিট রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। পরিচালক জানিয়েছেন, সংকটাপন্ন রোগী ছাড়া আপেক্ষিক ভালো অবস্থার রোগীদের ভর্তি নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। মূলত চিকিৎসক, নার্সের অভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। ওদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডকে করোনা ওয়ার্ডে পরিণত করা হয়েছে।

সোমবার (১২ জুলাই) থেকে রোগী ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মলয় কৃষ্ণ বড়াল। তিনি জানান, ২২টি বেড ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। একজন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে করোনা ইউনিট চালু করা হয়। ১০ বেড থেকে শুরু করে ৫০ বেড করা হয় গেল বছর। আর চলতি বছরে যথাক্রমে ১০০, ১৫০,  ২শ এবং চূড়ান্তভাবে ৩শ বেডে উন্নীত করা হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কোন তলায়ই রোগী ভর্তির বেড খালি নেই। সকাল ৮টা পর্যন্ত দেয়া রিপোর্টে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে ভর্তির সংখ্যা ৩০৭ জন থাকলেও বিকালের মধ্যে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২২ জনে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: সাইফুল ইসলাম বলেন, শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩শ বেডের বেশি করা অসম্ভব নয়। আমার তো সাপোর্ট নেই। তারপরও দুইজন চিকিৎসক ও তিন শিফটের ৪৫ জন নার্স নিয়ে চেষ্টা করছি করোনা ইউনিট চালানোর। এর বেশি আমার সামর্থ্য  নেই। যা সম্ভব তা করেছি।

এই কর্মকর্তা বলেন, সংকটাপন্ন রোগী ছাড়া আপেক্ষিক ভালো অবস্থার রোগীদের ভর্তি নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। মূলত চিকিৎসক, নার্সের অভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। ভর্তি নিলে এই রোগীরা বেশ ভোগান্তির মধ্যে থাকবে। তিনি বলেন, শুধু ভর্তি নিলেইতো রোগ ভালো হবে না, চিকিৎসা সেবাও দিতে হবে। কিন্তু চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সক্ষমতা না থাকলে সেবা দিব কিভাবে?

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস বলেছেন, রোগীর চাপ সামলাতে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জেনারেল হাসপাতালে কিছু বেড চালু করা হয়েছে। রোগীর চাপ বাড়লে পুরো হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি করা হবে। আমরা সকল ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছি।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন