আগৈলঝাড়ায় লোডশেডিংয় জনজীবন অতিষ্ট

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত কয়েকদিনে গোটা উপজলায় দফায় দফায় লোডশেডিং বাড়ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তীব্র গরমে ঘরে টিকে থাকাটা দায় হয়ে পড়েছে। গ্রাহক সংখ্যা বারলেও বারেনি সেবার মান।
বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। জহিরুল ইসলাম, লালচান সরদার, জসিম উদ্দিনসহ এলাকাবাসী জানান, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলায় তীব্র লোডশেডিং চলছে। বিদ্যুতের অভাবে ঘরে থাকা ফ্রিজের মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আগৈলঝাড়া পল্লাী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৪৭ হাজার গ্রাহকের জন্য বর্তমানে এই সাবস্টেশনে বিদ্যুতের চাহিদা দৈনিক দশ মেগাওয়াট। দৈনিক চাহিদার দশ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সরবারহ থাকলেও কি কারনে বিদ্যুতের এতো লোডশেডিং তা জানা যাচ্ছে না।
আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের দায়িত্বে থাকা জাকির হোসেন জানান, বিদ্যুৎ অফিসের দাবী অনুযায়ী উপজেলায় কোন লোডশেডিং নেই। মাঝে মাঝে ঝড়-বৃষ্টি, জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারনে বিদ্যুতের সমস্যা হয়ে থাকে। উপজেলার বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টি ও গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত শুক্রবার থেকে উপজেলায় ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এলাকাবাসী আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৭ ঘণ্টাই ছিল বিদ্যুৎবিহীন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। উপজেলার গৈলা গ্রামের ব্যবসায়ী জালাল সরদার বলেন, প্রচন্ড গরমে আর বিদ্যুতের ঘন ঘন যাওয়া-আসায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। আর এক গ্রাহক জানান, নতুন ডিজিএম যোগদানের পর থেকেই এই উপজেলায় লোডশেডিং বাড়ছে। তিনি গোল্ড মেডেল পাওয়ার আশায়ই এই ঘনঘন লোডশেডিং দিচ্ছে। চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে সাবস্টেশন স্থাপন করা হলেও বিদ্যুতের সংকট কাটছে না। বরং এই সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আগৈলঝাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম অসিত কুমার সাহা এটা সাময়িক সমস্যা বলে দাবি করেছেন। এছাড়া চলমান তাপমাত্রা বেশি থাকায়ও অন্যতম কারণ। খুব শিঘ্রই এর সমাধান হবে বলে আশা করি।
এইচকেআর