যুবককে গাছে বেধে নির্যাতনকারী ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সিগারেট চুরির অপবাদে যুবককে গাছে বেধে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত মুদী দোকানিকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘গাছে বেধে নির্যাতনের ভিডিও পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। দুই প্যাকেট সিগারেট চুরির অপরাধে ওই ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনার মূল হোতা নির্যাতনকারী মুদী দোকানি আবদুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার নির্মল দাসকে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই প্যাকেটে সিগারেট চুরির অপরাধে শনিবার বরিশালের হিজলা উপজেলার কাউরিয়া বাজারের কাঠমিস্ত্রি নির্মল দাস কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সুপারি গাছের সাথে বেধে নির্যাতন করেন একই বাজারের মুদি দোকানী আবদুস সালাম।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ‘নির্মল দাস এর বিরুদ্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে দুই প্যাকেট সিগারেট চুরির অভিযোগ করেন দোকানী আবদুস সালাম। এ অভিযোগে ৩১ জুলাই সকাল ১১টার দিকে আবদুস সালাম কাঠমিস্ত্রি নির্মলকে ধরে এনে সুপারি গাছের সাথে বেধে প্রকাশ্যে অমানসিক নির্যাতন করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শুধু নির্যাতনই নয়, দুই প্যাকেট সিগারেট চুরির দায়ে নির্মল দাসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৭ দিনের মধ্যে এলাকা ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন মুদী দোকানি।
এদিকে, নির্যাতনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক মানুষ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভাইরাল হাওয়া ১৬ মিনিটের একটি ভিডিও তে দেখা যায়, ‘নির্মলকে নির্যাতনের সময় তার স্ত্রী রূপা দাস বাধা দিতে আসেন। এজন্য তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম।’
নির্মালের স্ত্রী রূপা দাস বলেন, ‘আমার স্বামীকে সকালে বাড়ি থেকে বাজারে ডেকে নেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। সেখানে দুই প্যাকেট সিগারেট চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে সুপারি গাছের সাথে বেধে অমানুসিক নির্যাতন করে। আমি খবর পেয়ে ছাড়াতে গেলে আমাকেও মেরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, ‘দেশে আইন আছে। আমার স্বামী অপরাধ করে থাকলে তার বিচার আইনের মাধ্যমে হবে। কিন্তু আবদুস সালাম এভাবে নির্যাতন করতে পারে না। তাই এই ঘটনায় প্রশাসনের নিকট দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রূপা দাস।
এইচকেআর