মৃতদেহ শনাক্ত করতে গিয়ে ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধার

মৃতদেহ শনাক্ত করতে গিয়ে অপহৃত ভিকটিমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে বরিশাল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা টিম। সেই সাথে অপহরণকারী কথিত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোছাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিরি জানান, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বাহেরঘাট এলাকার মো. নজরুল ইসলাম হাওলদার তার স্কুলছাত্রী মেয়েকে পাচার ও ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে গত ২৮ জুলাই উজিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় প্রতিবেশী জালাল হাওলাদারের স্ত্রী ময়না বেগম ও দুলাল হাওলাদারের স্ত্রী লিপি বেগম সহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর থেকেই ভিকটিম উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছিল।
এরি মধ্যে গত ৩ আগস্ট সকাল ৯টায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানা পুলিশ এক অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে উজিরপুরের অপহৃত বিশোরীর মা বাবাকে নিয়ে ভূঞাপুর তারাকান্দি এলাকায় যান বরিশাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ওই মৃতদেহ অপহৃত কিশোরীর নয়।
পরে বরিশালের পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন এর নির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ গোয়েন্দা জোনের সহযোগিতায় ৪ আগস্ট রাত ৮টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন কেওয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বরিশাল ডিবি পুলিশের ওই টিম।
পরে সেখানে কিশোরীর কথিত প্রমিক মো. মিজানের বসতবাড়ীতে তল্লাশী চালিয়ে ১০ম শ্রেনী পড়ুয়া অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। পাশাপাশি একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মিরাজকে। রাতেই তাদের নিয়ে বরিশালে ফিরে আসে ডিবির টিম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বরিশাল জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহান হাওলাদার বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আসামি মিরাজকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কি কারণে কিশোরীকে অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছিল সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মামলার অন্যান্য আসামিদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনকালে উদ্ধার হওয়া ভিকটিম ছাড়াও তার বাবা নজরুল ইসলাম এবং মা হোসনেয়ারা বেগম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
এইচকেআর