ঢাকা সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

গরীবের ডাক্তার ক্যাপ্টেন সিরাজুল ইসলাম’র দাফন সম্পন্ন

গরীবের ডাক্তার ক্যাপ্টেন সিরাজুল ইসলাম’র দাফন সম্পন্ন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশালের গরীবের ডাক্তার খ্যাত বরেণ্য চিকিৎসক অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সিরাজুল ইসলাম’র  দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুমা গোরস্থান রোড জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মুসলিম গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরেণ্য চিকিৎসক অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সিরাজুল ইসলাম ইন্তেকাল করেন। 

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি বরিশালের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. খাদেম হোসেন এর ছেলে। ছয় ভাই এবং পাঁচ বোনের মধ্যে তিনিই সর্বজ্যেষ্ঠ। তাঁর একমাত্র পুত্র একজন চিকিৎসক এবং মেয়ে কানাডা প্রবাসী। এছাড়াও তিনি মৃত্যুকালে অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বরেণ্য এই চিকিৎসকের মৃত্যুর খবরে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

মরহুমের মামাতো ভাই শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস.এম জাকির হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার নগরীর গোরস্থান রোড জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর মুসলিম গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ‘গত ২৭ জুলাই দুপুরে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে ডাক্তার সিরাজুল ইসলামকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। 

নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন ডা. সিরাজুল ইসলাম আমৃত্যু মানুষের সেবা দিয়ে গেছেন। দীর্ঘ ২৫-৩০ বছর তিনি জিয়া সড়ক এবং হিজলা-মুলাদী উপজেলার মানুষকে নির্লোভ চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। যার সাধ্য আছে তার কাছ থেকেই কেবল ভিজিট রাখতেন। তাও নির্ধারিতভাবে নয়, যতটুকু সম্ভব ততটুকুই রেখেছেন। আর না দিলে নয়।

 ডা. সিরাজুল ইসলাম অসহায় এবং গরীব রোগীদের বিনা টাকায় চিকিৎসা দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই রোগীর চিকিৎসা সহায়তার নিজের পকেটের টাকা দিয়েও ওষুধ কিনে দিতেন। এ কারণেই তিনি গরীবের ডাক্তার নামের খেতাব পান। মরহুমের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন, ডা. সিরাজুল ইসলাম নগরীর জিয়া সড়ক ছাড়াও নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে আজাদ অপটিকস্-এ চেম্বার করতেন। অসুস্থ হওয়ার দিনেও তিনি ২০ জন অসহায় এবং গরীব মানুষের চিকিৎসা দিয়েছেন। ওইদিন চিকিৎসা করতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন