চাঁদপুরে করোনায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে

চাঁদপুরে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১০ জনই নারী। এরা সবাই চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। একই সময় শুক্রবার ৩ শ ৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ১শ ৩০ জনের মধ্যে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এতে আক্রান্তের হার ৪২. ৩৪ শতাংশ।

শনিবার (০৭ আগস্ট) এসব তথ্য জানিয়েছেন আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল।

করোনা ওয়ার্ডে যে ১২ জন মারা গেছেন তারা হলেন- চাঁদপুর সদরের মধ্য তরপুরচন্ডীর ফজিলাতুনেছা বেগম (৭০), লালপুরের আনোয়ারা বেগম (৬৫), দক্ষিণ বালিয়ার কুলসুমা বেগম (৫৫), কামরাঙার সাজেদা বেগম (৭০), চাঁদপুর পৌরসভার পূর্ব শ্রীরামদীর মর্জিনা বেগম (৩৫), ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাব্দেরগাঁও এলাকার লোকমান হোসেন (৬২), পশ্চিম রূপসার দেলোয়ার হোসেন (৪৫), মূলপাড়ার রেজিয়া বেগম (৯০), কচুয়া উপজেলার সাহিদাপুরের খালেদা খানম (৪৫), মতলব দক্ষিণ উপজেলার আড়ংবাজারের শেফালী বেগম (৬০)শাহরাস্তি সূচীপাড়ার আমেনা বেগম (৮০) এবং হাজীগঞ্জ উপজেলার ধড্ডা গ্রামের জাহানারা বেগম (৬৫)। এদের মধ্যে ৫ জন করোনায় অন্যরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

মেডিক্যাল অফিসার জানান, যারা মারা গেছেন তাদের অক্সিজেনের মাত্রা একেবারেই কম ছিল। এছাড়া শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই হাসপাতালের করোনার ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার চেয়েও বেশী রোগী রয়েছে। ফলে তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ১২ জনের মৃত্যুসহ চলতি মাসের শুরু থেকে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত মাত্র ৬ দিনে ৮০ জন করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে মারা গেছেন। সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার। একই সঙ্গে করোনায় সব মিলিয়ে মারা গেছেন ১ শ ৯৫ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ৫ শতাধিক।

অন্যদিকে, সারাদেশের মতো আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ১ শ ২০টি কেন্দ্রে একযোগে করোনার ভ্যাকসিন ‘গণটিকা’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলতে থাকা এই কর্মসূচীতে ৬১ হাজার ২ শ জনকে সিনোর্ফামের টিকা দেওয়ার হচ্ছে বলে জানান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ।