পরকীয়া প্রেমিকার বাড়িতে প্রেমিকের রহস্যজনক মৃত্যু


বগুড়ায় পরকীয়া প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে আবু জাফর প্রামাণিক (৬২) নামে এক স্বর্ণকারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। প্রেমিকা সুলতানা বেগম (৫০) ঘরে লাশ ফেলে ও অসুস্থ স্বামীকে অন্যত্র রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে থানায় যান।
সোমবার দুপুরে শহরের ধরমপুর এলাকায় এ ঘটনায় পুলিশ জাফরের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া সন্দেহজনক আচরণ করায় সুলতানা বেগম ও তার আত্মীয় মিনা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের ধারণা, তাকে হত্যা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় এ খবর পাঠানো পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ, নিহতের ভাই বগুড়া শহরের ধরমপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও স্বজনরা জানান, ধরমপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর প্রামাণিক পেশায় স্বর্ণকার ছিলেন। প্রতিবেশী হাফিজার রহমান দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাফর অসুস্থ হাফিজারকে দেখতে তার বাড়িতে যান।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাফিজার রহমানের স্ত্রী সুলতানা বেগম ফোনে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে জানান, জাফর তাদের বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সুলতানা বেগম তার অসুস্থ স্বামীকে পাশেই আত্মীয় স্বাধীনের স্ত্রী মিনা খাতুনের বাড়িতে রাখেন। এরপর তিনি জাফরের মৃতদেহ ঘরের বিছানায় রেখে বাড়িতে তালা দিয়ে সদর থানায় খবর দিতে যান।
জাফরের পরিবারের সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে তালা দেখতে পান। পরে সদর থানা পুলিশ তালা ভেঙে জাফরের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই জাকির হোসেন ও অন্যরা দাবি করেন, তাদের ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
সদর থানার ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ জানান, স্বর্ণকার আবু জাফরের সঙ্গে অসুস্থ প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের স্ত্রী সুলতানা বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রহস্যজনক আচরণ করায় সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এছাড়া অসুস্থ হাফিজারকে বাড়িতে রাখায় মিনা খাতুনকেও থানায় আনা হয়েছে।
এমবি
