চাঁদপুর: একদিনে মৃত্যু আরও ১১, শনাক্ত ১৮৫


করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুরে আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং কচুয়া উপজেলায় মারা গেছেন তাঁরা।
১১ জনের আটজন মারা গেছেন চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং তিনজন মারা গেছেন কচুয়া উপজেলায়। একই সময় ৬১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৮৫ জন। এতে সংক্রমণের হার ৩০.২৭ শতাংশ।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ও করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. সুজাউদ্দৌলা আরো জানান, হাসপাতালটিতে যে আটজন মারা গেছেন তাদের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। বাকি পাঁচজন মারা গেছেন করোনা উপসর্গ নিয়ে।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যে আটজন মারা গেছেন তাঁরা হলেন সদর উপজেলার মধ্য তরপুরচণ্ডী গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০) ও সাজেদা বেগম (৫৫), করবন্দ গ্রামের রেজিয়া বেগম (৯০), ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘনিয়া গ্রামের ময়মুনা খাতুন (৭০), রূপসা গ্রামের মনোয়ারা বেগম (৭০), শাহরাস্তি উপজেলার দেবকরা গ্রামের আব্দুর রব (৮০), হাইমচর উপজেলার পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর গ্রামের নিলুফার ইয়াসমিন (৫৮) এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাশিমপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৮০)।
এছাড়া কচুয়া উপজেলার হাটখোলা গ্রামের কাজী তয়ুব আলী (৭০) ও তাঁর স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৬০) এবং একই গ্রামের সাবিনা বেগম (৩০)।
এদিকে, চাঁদপুরে এ পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রমিত হয়েছেন সাড়ে ১২ হাজার। মারা গেছেন দুই শতাধিক এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ৫২০ জন।
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যানে মৃত্যু সংখ্যা উঠানামা করলেও শনাক্ত অনুযায়ী সংক্রমণের হার কমেছে। তিনি জানান, এখন লকডাউন শিথিল হওয়ার পর মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সংক্রমণ এবং মৃত্যু নির্ভর করছে।
এমইউআর
