সেই ডিজে নেহা কাণ্ড: মাধুরী হত্যায় বন্ধুর জামিন স্থগিত


আলোচিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ফারাহ মাধুরীকে অতিরিক্ত মদপান করিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার আসামি বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেবৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় মর্তুজা রায়হান লিভারেল আটর্স অব বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ছাত্রী মাধুরীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সন্ধ্যায় ডিজে নেহার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী এবং রায়হান একসঙ্গে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুস্যুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান। মদপানের একপর্যায়ে তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও কক্ষে ছিলেন।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।
মাধুরীর সঙ্গে মারা যান তাদের বন্ধু আরাফাতও। এ ঘটনার পর ৩১ জানুয়ারি নিহতের বাবা মামলা করেন। পরে রাজধানীর আজিমপুর থেকে নেহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর বেরিয়ে আসে তাদের অন্ধকার জগত সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবার ও স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন ডিজে নেহার হাত ধরে অনেক তরুণ-তরুণী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে পা দিয়েছেন।
মাধুরী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, তাদের আরেক বন্ধু তাফসিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নেহার চাচাতো ভাই বিশাল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
পরবর্তীতে এ মামলায় গত ১৯ জুলাই মর্তুজা রায়হান চৌধুরীকে জামিন দেন হাইকোর্ট। সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।
এইচেকআর
