আগৈলঝাড়ায় আত্মহত্যার চেষ্টাকারী গৃহবধূকে ৫ঘন্টা ঘরে আটক রাখার অভিযোগ

আগৈলঝাড়ায় স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। ওই গৃহবধূ বিষপানের পরে ঘরে জোর পূর্বক ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় ও নির্যাতনের শিকার হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী গৃহবধূ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মাস পূর্বে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পাকুরিতা গ্রামের বিরেন সুতারের ছেলে বিজন সুতারের সাথে আস্কর গ্রামের নিখিল অধিকারীর মেয়ে সমাপ্তি অধিকারীর বিয়ে হয়।
গৃহবধূ সমাপ্তি অধিকারী জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ী-ননদ ও স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে করতে আমি ক্লান্ত হয়ে পরি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার স্বামী বিজন সুতার আমাকে মারধর করে। এসময় আমি আত্মহত্যার জন্য ঘরে থাকা কীটনাশক পান করি। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পরলে আমার স্বামী বিজন, শ্বশুর বিরেন সুতার, শ্বশুড়ী রীনা সুতার ও ননদ বন্যা সুতার আমাকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে ঘরের মধ্যে প্রায় ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে বোন সীমা অধিকারী ও তাঁর স্বামী মিঠুন মালাকার সমাপ্তির শ্বশুর বাড়ি গিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে চাইলে বিজন ও তাঁর বাবা বিরেন সুতার মিঠুনকে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয়রা গৃহবধূ সমাপ্তিকে উদ্ধার করে বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আলামিন হোসাইন জানান, কীটনাশক পানে অসুস্থ এক রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপপরিদর্শক মো. আলী হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গৃহবধূর পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এইচেকআর