আগৈলঝাড়ায় শ্রমিকলীগ নেতার ছেলের বর যাত্রীর গাড়ি ভাংচুর : আটক ২

আগৈলঝাড়ায় চাঁদার দাবিতে শ্রমিকলীগ নেতার ছেলের বিয়ের বর যাত্রীর গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও তার লোকজন । এসময় তাদের হামলায় একটি মাইক্রোবাস, দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকেলে বাগধা ইউনিয়নের চক্রিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ মামলায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী মজিদ সোহাগ সিকদার ও জোবায়েদ ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । সত্যতা নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার ।
মামলা সূত্রে জানা যায় শ্রমিকলী নেতা আব্দুর রাজ্জাক শেখ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ব্যবসার সাথে জড়িত। তার বালুর শিপ পয়সা থেকে পাশ্ববর্তি কোটালীপাড়া উপজেলার মধুর নাগরা যাবার পথে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফিরোজ সিকদারের বাড়ি সংলগ্ন সরকারী খাল দিয়ে যাবার সময় ফিরোজ সিকদার, তার ভাই মিজান সিকদারসহ অন্যান্যরা বিভিন্ন রকম চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মিজান সিকদার তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যারও হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে রাজ্জাক শেখ তার ছেলের বিয়ের জন্য এলাকার গন্যমান্য লোকজন নিয়ে একই উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের চক্রিবাড়ি গ্রামে কনের বাড়ির উদ্যেশ্যে রওয়ানা হয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফিরোজ সিকদারের বাড়ির সামনে পৌছলে তাঁর নেতৃতে তার ভাই মিজান সিকদারসহ একই এলাকার লুৎফর সিকদারের ছেলে রুমি সিকদার, শফিক সিকদারের ছেলে মনির সিকদার, মজিদ সিকদারের ছেলে সোহাগ সিকদার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে বর যাত্রীর গাড়ি বহরে হামলা চালায়।
তাঁরা হামলা চালিয়ে বর যাত্রী বহনকারী একটি মাইক্রোবাস, দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে রাজ্জাকের ড্রেজার কর্মচারী রাসেল শেখকে বেদম মারধর করে আহত কওে তাঁরা । আহতাবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয় উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম সরদার মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক শেখকে বাকাল ইউনিয়নের শ্রমিকলীগের কর্মী দাবি করে বলেন, বিষয়টি তাদের স্থানীয় সমস্যা। দলীয় কোন বিরোধ বা সমস্যা নয়। কারো ব্যাক্তিগত দায় দল নেবে না। এ ব্যপারে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফিরোজ সিকদার বলেন, শুক্রবার ছিল তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। সে উপলক্ষে তাঁর পরিবার সদস্যরা বাড়িতে একত্রিত হয়েছিল। তাঁর ভাই মিজান ও রাজ্জাকের ভাইর ছেলে আজিজুল একটি ঘটনা নিয়ে মামারারি শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে পরে উভয় পক্ষের মধ্যে লাঠি-সোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলেও পরে আর কোন মারামারি হয়নি।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামীকে আটক করা হয়েছে । বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এইচেকআর