আগৈলঝাড়ায় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কান্ড!
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে এক শিশুকে প্রকাশ্যে বাজারে মারধর করে তাঁর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার গৈলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে । শিশুটি হল উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক লাল মিয়া সরদারের ছেলে সজীব সরদার (১১) ।
এসময় হাফিজুল দাড়িয়ার নামের দোকান থেকে কাঁচি এনে মাথার চুল কেটে দেয়। শিশুটির মা সানু বেগম অভিযোগে বলেন, শনিবার দুপুরে তার ছেলে বাড়ি আসে। একটু পরে গৈলা অলি টেলিকমের মালিক অলি বেপারী তাদের বাড়ি এসে সজীবকে বাজারে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরে বিকেলে তার ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে জানায় যে একটি মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে তাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে।
তিনি ঘটনার বিচার দাবি করে বলেন, আমার ছেলে যদি চুরি করে থাকে তাহলে তারা আমার কাছে বিচার দিলে আমি আমার ছেলের বিচার করতাম। আমার শিশু পুত্রকে মারধর করে বাজারের লোকজন অমানবিকভাবে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। শিশুর বাবা ভ্যান চালক লাল মিয়া সরদার বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমাদের এই ঘটনার মধ্যে টানবেন না। ঘটনাটি অমানবিক বলে তিনি বিষয়টি নিয়ে তার যেন কোন সমস্য না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার অনুরোধ করেছেন। বাজার ব্যবসায়ি কমিটির সভাপতি সুশান্ত কর্মকার বলেন, তিনি গৈলা মনসা পূঁজার আয়োজনের জন্য মনসা বাড়িতে ছিলেন। বাজারে এসে একটি শিশুর চুল কাটার কথা শুনেছেন। তবে কে বা কারা ওই শিশুটির চুল কেটেছে তা তিনি জানেন না।
গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু বলেন, তিনি সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ঘটনা জানতেন না। লোক মুখে ঘটনা শুনে তিনি গৈলা বাজারে উপস্থিত হয়ে শিশুকে মারধর ও চুল কাটার কথা জানতে পারেন। অমানবিক এই এই ঘটনায় তিনি আইনগত বিচার দাবি করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, নির্যাতিত ওই শিশুর বাবা লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এইচেকআর