প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সু-সংগঠিত থাকতে হবে : প্রতিমন্ত্রী

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স

জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম এম.পি।

রবিবার (১৫ আগষ্ট) দুপুর দুইটায় সময় নগরীর করীম কুটিরস্থ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র বাস ভবনে বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম এম.পি বলেছেন, আমরা ৪৬ বছর আগে এই ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবনের সবটা সময় দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। দুখী মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। পাকিস্তান-ভারতে যখন স্বাধীনতা হয় সেইসময়ে তিনি রাজনীতিতে যোগদান করেন ।এরপর তিনি বাংলার মানুষের বাংলায় কথা বলার অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি জীবনের চৌদ্দটা বছর কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তীতিক্ষার জন্যই আমরা স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পরিচিতি লাভ করেছি। আজ তারই সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।যার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে আজ আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে এসে পৌঁছেছি। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে আমরা পৌঁছাবো। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য স্থির করেছেন, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আমাদের সু-সংগঠিত থাকতে হবে।

বরিশালের কৃতি সন্তান শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ ১৫ আগস্ট শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর পরিবার যে ত্যাগ দিয়েছে বাংলাদেশের জন্য। এই ত্যাগের মূল্যায়ন করতে হলে আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি আশা করি আমাদের দলের মধ্যে যারা রয়েছেন তারা সকলে মিলেমিশে দেশের উন্নয়নে কাজ করবো।

তিনি বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ জন কাউন্সিলর আমাদের দিকে এসেছেন। আমরা মনে করি তাদের আসাতে আওয়ামীলীগ আরো শক্তিশালী হয়েছে। আবার কিছু বহিরাগত লোক এসেও অনুপ্রবেশ করেছে। যাদের লক্ষ্যই হলো শুধু দলের ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করা। তারা নিজের ভালো চায়, দেশের ভালো চায় না।তাদের ইচ্ছে হলো সবটাসময় দলের ভেতরে গণ্ডগোল বাধানো, বিভেদ সৃষ্টি করা।

এ ধরনের লোকদের চিহ্নিত করতে হবে। আমার কথা পরিষ্কার এ ধরণের লোকদের দলে দেখতে চাই না। আমি সারাটাজীবন শৃঙ্খলা মেনে চলেছি, নিয়ম মেনে চলেছি। আমি আশাকরি যারা আমার সাথে থাকবে তারাও নিয়ম মেনে চলবে। যারা অন্যকিছু চিন্তা করেন তাদের আহবান জানাবো, আপনারা নির্ধিদ্বায় চলে যান। না গেলে আপনাদের বিরুদ্ধে অন্য ব্যবস্থা গ্রহন করবো, যেটা মোটেই ভালো হবে না। আমি আশা করবো, আমরা যারা আছি তারা সকলে মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশকে শক্তিশালী করবো। বিশেষ করে দক্ষিনাঞ্চলের অণ্যতম বরিশালের বিভাগীয় শহরে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে হবে।সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

এ-সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিসি’র ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির বিস্বাস, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিচুর রহমান দুলাল, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, সদর উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান এ্যা.মাহাবুবুর রহমান মধু, মহানগর আ’লীগের সাবেক সহ সভাপতি আমিন উদ্দিন মোহন, ২৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও শ্রমিক লীগের নেতা সুলতান মাহমুদ হাওলাদার, মহানগর যুবলীগ সদস্য মিল্টন, ২০নং আ’লীগের ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মুনিবুর রহমান, ২৩নং আ’লীগের ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিপন, মহানগর যুবলীগ সদস্য মানিক, ২৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মান্নান, মহানগর যুবলীগের নেতা আতিক, বি.এম কলেজ ছাত্র সংসদ সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সাইদীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।