আমতলীতে পূর্বচিলা রাস্তায় হাটু সমান পানি

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের অবহেলিত একটি গ্রামের নাম পূর্বচিলা । এই গ্রামে আজো নির্মাণ হয়নি কোনো পাকা সড়ক। পাকা সড়ক না থাকায় বর্ষায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রায় ৫ হাজার মানুষকে। পাকা সড়ক না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নিতে হলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়।
উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামের আশপাশের গ্রামগুলোতে পাকা সড়ক নির্মাণ হয়েছে। অথচ এ গ্রামে কোনো পাকা সড়ক নির্মাণ হয়নি। এ গ্রামে রয়েছে একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা।
গ্রামের অধিবাসী মো. বদিউজ্জামান বলেন, রামজির হাট দক্ষিন পাশ দিয়ে অফিস বাজার রাস্তার তিন রাস্তার মোড় আক্কাস খানের বাড়ী থেকে শুরু হয়ে হানিফ ডাঃ বাড়ী পর্যন্ত ও হাসানিয়া ইবতে দায়ী মাদ্রাসা হয়ে মহসিন গাজীর বাড়ী থেকে আসমান হাওলাদার বাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ পর্যন্ত রাস্তায় এই বর্ষাকালে কোন রকম চলাফেরা করা যাচ্ছে না। রাস্তাটি অনেক যায়গায় বিলের সাথে মিশে গেছে। হাটু সমান পানি থাকে। গ্রামের মানুষদের দুভোর্গের কোন শেষ নাই। জরুরী ভিত্তিত্বে রাস্তাটি পাকা করনের দাবী জানাই।
স্থানীয় বাসিন্দা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, চরম কষ্টের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজন মেটায় স্থানীয়রা। নির্বাচনের সময় নেতারা রাস্তাঘাটসহ এলাকার উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে আর খবর রাখেন না।
স্থানীয় গ্রামের অধিকাসী হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদেও দুভোর্গের কোন শেষ নাই শিশু বৃদ্ধ মহিলারা কেহ অসুস্থ হলে আমাদেও সিমাহীন কস্ট করতে হয় চিকিৎসার জন্য আমতলী বা অফিস বাজার যেতে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, পূর্বচিলা গ্রামের যেসব কাঁচা রাস্তা রয়েছে সেগুলো উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে আইডি নম্বর করে রাস্তাগুলোর তালিকা জমা দেয়া হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খোজ খবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচেকআর
