নারীকে গাছে বেধে প্রতিবেশীদের অমানবিক নির্যাতন


ইজারা নেওয়া জমিতে প্রতিপক্ষকে ধান রোপণে বাধা দেওয়ায় এক হত দরিদ্র নারীকে (৫৫) মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার পাশে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও দেখার পর এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মধ্য পিরিচপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার শ্রীবরদী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, দারিদ্রতার কারণে তার স্বামী ও ছেলে মেয়ে ঢাকায় থাকে। সেখানে ছোটখাট কাজ করে সংসার চালায়। অনেক কষ্ট করে প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ছেলে জাকির হোসেনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে ৩০ শতাংশ জমি ইজারা নেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর যাবত ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আরেক প্রতিবেশী রমজান আলী (৩৭) ও তার ছোট ভাই হারুন মিয়া (৩২) সহ ১০/১২জন ওই জমিতে গিয়ে জোরপূর্বক আমন ধানের চারা রোপণ করেন।
এ সময় তিনি বাধা দিলে রমজান আলী তাকে ক্ষেতেই শারীরিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে ক্ষেত থেকে তাকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার পাশে এনে রশি দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়। দেড় ঘণ্টা পর কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য সাহিদা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে তার শরীরের বাঁধন খুলে দেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী নারী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাহিদা বেগম বলেন, 'আমি ঘটনাটি শুনে সেখানে গিয়েছিলাম। পরে তার শরীর থেকে রশির বাঁধন খুলে দেই।'
ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে শনিবার রমজান আলীসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আটজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত রমজান আলী নির্যাতনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, 'আমি ওই জমি কোর্ট থেকে ডিক্রি পেয়েছি। ওই জমিতে ধান রোপণ করতে গেলে সে বাঁধা দেয়। এ জন্য আমরা তাকে ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে এসে গাছে বেঁধে রাখি।'
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমবি
