কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলিতে মিষ্টি বিতরণ


পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জেএইচ খান লেলিনের বদলিতে আনন্দ মিছিল-মিষ্টি বিতরণ বিতরণ করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে পৌর শহর ও হাসপাতাল এলাকায় স্থানীয় জনতা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ল্যাব-ক্লিনিকসহ তার ব্যক্তিগত ম্যাক্স হাসপাতালে সিজার ও টেস্ট বাণিজ্যের মূলহোতা ছিলেন। তাকে অপরাসরণের দাবিতে এর আগেও অনেকবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে তার বদলির খবরে আনন্দে ফেটে পড়েন কলাপাড়াবাসী। সঙ্গে রাস্তায় নেমে পড়ে স্থানীয় তরুণরা।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, তাকে বদলি করে বর্তমানে রাজশাহীর নাটোরে পাহারতলীর নলডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, ডা. লেলিনের দায়িত্বহীনতা ও অনিয়মের কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছে এতদিন। অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় একাধিক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রয়েছে একাধিক মামলা, ক্লিনিক বাণিজ্য করে করেছে অবৈধ সম্পদ। স্থানীয় বাসিন্দারা, রোগীর স্বজন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে অপসারণে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করে আসছেন।
আনন্দ মিছিলে অংশ নিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ আল-ইমরান বলেন, স্থানীয় সাধারণ রোগীদের গলাকাটতো ডা. লেলিন। এর পরেও স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী মহলের চাওয়ায়এই কসাই নামক ডাক্তারকে এখানে রাখা হয়েছে। আমরা যখন সাধারণ মানুষের কণ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ করি তখন আমাদেরও দমাতে অনেক অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আজ তার বিদায় হয়েছে, কলাপাড়াবাসী এখন কশাইমুক্ত।
পরিবেশকর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, কলাপাড়ার মানুষ তাকে ল্যাব, টেস্ট ও ক্লিনিক বাণিজ্যের প্রধান হোতা নামে চিনতো। তার নিজের প্রাণভেট ম্যাক্স হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও পরীক্ষা করলে তিনি রিপোর্ট দোখতেন না। সাধারণ মানুষ তাকে দেখলে ভয় পেত। তাকে শুধু বদলি নয় তার সব অবৈধ সম্পত্তির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিক সরকার, এই দাবি আমাদের।
আমরা কলাপাড়াবাসী নামে একটি সংগঠনের সভাপতি নাজমুস সাকিব বলেন, এই ডাক্তার শুধু রোগীদের গলাই কাটেনি তিনি জুলাই আন্দোলনে বিভিন্নভাবে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন। আমরা নাটোরের নলডাঙ্গাবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি যাতে কলাপাড়ার মানুষের মতো ওখানের মানুষের রক্ত চুষতে না পারে। আর কলাপাড়া যে ডাক্তার আসবেন তাকেও সতর্ক থাকতে হবে যাতে সাধারণ মানুষ ডাক্তার দেখলে ভয় না পায়।
এইচকেআর
