তজুমদ্দিনে দলবদ্ধ ধর্ষণ: প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষ


ভোলার তজুমদ্দিনে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
এক পক্ষের আহতের মধ্যে ৪ জনকে মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন- তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. মমিনুল ইসলাম শাকিল, চাঁদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির তালুকদার, ছাত্রদল কর্মী মো. মেহেদী পাটওয়ারি ও মো. শামিম।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তজুমদ্দিন উপজেলার মোল্লা পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. মমিনুল ইসলাম শাকিলের অভিযোগ, বিকেলে তজুমদ্দিনে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মোল্লার পুকুর পাড় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ আগে ধর্ষণ মামলার আসামি মো. ফরিদ, আলাউদ্দিনসহ অন্যান্য আসামিদের নির্দেশে তাদের আত্মীয় স্বজনরা ও চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উত্তর শাখার সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিনসহ ৩০-৪০ জন পাইপ, লাঠি-সোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে তাদের অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।
তবে চাঁদপুর ইউনিয়নের উত্তর শাখার ছাত্রদল সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারাও ধর্ষণের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে ফিরে যাওয়ার সময় ধর্ষকদের বাঁচাতে তজুমদ্দিন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. মমিনুল ইসলাম শাকিল, চাঁদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শাখার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বির তালুকদারসহ কয়েকজন তাদের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে তাদের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বাত খান জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে মো. নাজির উদ্দিন নামে একজন ৬ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্য পক্ষ এখনও অভিযোগ করেনি। তারা অভিযোগ করলে আমরা দুই পক্ষের অভিযোগই তদন্ত করবো। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এইচকেআর
