পটুয়াখালীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা


পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে কলেজছাত্র মো. ফাহিম বয়াতি (১৯) খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা মো. জাকির বয়াতি গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফাহিম নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি ভাংড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুরোনো সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেলে শাকিল, সোহাগ, সানুসহ আরও কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে ফাহিম ও তার বাবা জাকির বয়াতির ওপর হামলা চালান। রাস্তায় চলার সময় তাদের পথরোধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। একপর্যায়ে ছুরি ঢুকিয়ে ফাহিমের ডান পায়ের উপরের অংশ টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে গুরুতর আহত হন তিনি।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে ফাহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে নিকটস্থ বাজারের একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেখান থেকে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলে অটোরিকশায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ফাহিমের বাবা জাকির বয়াতিকেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী জিহাদ বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় নিয়ে ফাহিমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলছিল। হঠাৎ করেই ছুরি দিয়ে ওকে আঘাত করা হয়। এরপর ওর বাবার ওপর হামলা চালায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ফাহিমকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাই, কিন্তু রাস্তায়ই ও মারা যায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনার খবর আমরা মৌখিকভাবে পেয়েছি। মরদেহ পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে রয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এইচকেআর
