বৃষ্টিতে পরিত্যক্তই হয়ে গেলো বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস শেষ টি-২০


সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বারবার বৃষ্টির বাধায় পড়ে শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্তই হয়ে গেরো। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ পর একবার বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ ছিল প্রায় ৪০ মিনিট। এবার প্রথম ইনিংসের শেষ দিকে এসে আবারও বৃষ্টির কবলে পড়ে ম্যাচটি। যেখান থেকে পূনরায় আর ম্যাচটি শুরুই করা গেলো না।
দ্বিতীয়বার বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের রান ছিল ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪। ২০ রানে রানে জাকের আলী অনিক এবং ১১ বলে ২২ রানে ব্যাট করছিলেন নুরুল হাসান সোহান। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টির কারণে শেষ পর্যন্ত মাঠ খেলার অনপযোগী হয়ে যায় এবং ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুল।
তৃতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও আগেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিলা বাংলাদেশ। প্রথম দুটি ম্যাচই জিতেছিল টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত সিরিজে বাংলাদেশের জয় হলো ২-০ ব্যবধানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে সূচনাটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও সাইফ হাসান উদ্বোধনী জুটিতে তুললেন ৩৯ রান। এ সময় ১২ রান করে কাইল ক্লেইনের বলে আউট হয়ে যান সাইফ হাসান।
এরপর লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলেছিল; কিন্তু বৃষ্টির বাধায় তখন খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হলে কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে যান তাওহিদ হৃদয়। তিনি করেন ৯ রান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। যদিও তিনি ১৯ বল খেলে আউট হন ২১ রান করে। ডাচ বোলারদের ওপর নির্দয় ছিলেন লিটন দাস। তিনি ৪৬ বল খেলে ৭৩ করে আউট হন। ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার সাজে।
পঞ্চম উইকেটে জুটি বাধেন জাকের আলি অনিক ও দীর্ঘদিন পর একাদশে ফেরা নুরুল হাসান সোহান। অনিকের চেয়ে বেশি বিধ্বংসী ছিলেন সোহান। ২টি ছক্কার মার মেরে ১১ বলে ২২ রান করেন তিনি। ১৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি অনিক।
প্রথম দুই ম্যাচেই টস জিতেছিল টাইগাররা। টস জিতে অধিনায়ক লিটন দাস নিয়েছিলেন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত। দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছেন তারা। শেষ ম্যাচটা আনুষ্ঠানিকতার। এই ম্যাচে টস জিতলেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে হচ্ছে টাইগারদের। এই ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে আনা হয়েছে ৫টি পরিবর্তন। বিশ্রাম দেয়া হয়েছে তানজিদ তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। একাদশে নেয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেনকে।
পরিবর্তন এনেছে নেদারল্যান্ডসও। প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন টিম প্রিঙ্গল। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে বাদ দিয়ে নেয়া হয়েছিল সিকান্দার জুলফিকারকে। শেষ ম্যাচে জুলফিকারকে বাদ দিয়ে আবার ফেরানো হয়েছে টিম প্রিঙ্গলকে।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
নেদারল্যান্ডস একাদশ
ম্যাক্স ও’দাউদ, ভিক্রমজিৎ সিং, অনিল তেজা নিদামানুরু, স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), শারিজ আহমেদ, নোয়াহ ক্রোয়েস, টিম প্রিঙ্গল, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, দানিয়েল দোরাম।
এইচকেআর
