৬৮ শতাংশ নারী ও ৪৬ শতাংশ পুরুষ ভোটার পিআর জানেন না


জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে শোনেননি কিংবা ধারণা নেই ৬৮ শতাংশ নারী ও ৪৬ শতাংশ পুরুষ ভোটারের। আর ২৭ শতাংশ পুরুষ ও ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ নারী ভোটার বলেছেন- তারা পিআর চান।
পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনোভেশন কনসাল্টিংয়ের ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক দ্বিতীয় দফার তৃতীয় পর্বের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রেইন ও ভয়েস ফর রিফর্মের সহযোগিতায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াত সারওয়ার সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিডিবিএল ভবনে এক অনুষ্ঠানে জরিপের এ তথ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভয়েস ফর রিফর্মের সহ-আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর।
গত ২ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর এ জরিপ পরিচালিত হয়। এতে ১০ হাজার ৪১৩ জন ভোটার অংশ নেন। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৩৯ জন পুরুষ এবং ৪ হাজার ৭১৯ জন নারী।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরদাতাদের মধ্যে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী ও ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ পিআর চান না। আর উত্তরদাতাদের মধ্যে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৫৬ শতাংশই জানেন না পিআর পদ্ধতি কী।
রুবাইয়াত সারওয়ার বলেন, জরিপের ফলাফল থেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে অবগত করা জরুরি।
জরিপে স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় রাজনীতি নিয়ে সন্তুষ্টির বিষয়ে ভোটারদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। এতে এগিয়ে জামায়াত। জামায়াতের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা। একেবারেই সন্তুষ্ট নন ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এনসিপি। এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ উত্তরদাতা। সন্তুষ্ট নন ১৭ শতাংশ।
অন্যদিকে বিএনপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৩৯ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা। আর একেবারেই সন্তুষ্ট নন ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা।
এইচকেআর
