আগামী এক বছরে ২৪টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ


দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়েতে ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেট। মোট ১৪টি দল অংশ নেবে বিশ্বকাপের ১৪তম আসরে। কোন ১৪টি দল অংশ নেবে এতে?
আইসিসি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতার মাপকাঠি ঠিক করে ফেলেছে এরই মধ্যে। দুই সহ-আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে বিশ্বকাপে খেলবে সরাসরি। বাকি ১২টি দল বাছাই পর্ব অতিক্রম করে যোগ্যতা অর্জন করবে। এই বাছাই পর্বের মধ্যে আবার ৮টি দল সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে।
কোন আটটি? ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত আইসিসি র্যাংকিংয়ে সেরা আটে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে ছাড়া) থাকবে যে দলগুলো, তারা বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে। বাকি চারটি দল নির্বাচন করা হবে বাছাইপর্বের মাধ্যমে। যেটি অনুষ্ঠিত হবে নামিবিয়ায়।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলাদেশের ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন সম্পর্কিত বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। যা দৃষ্টিগোচর হয়েছে বিসিবির। তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে মিডিয়ার প্রতি আহ্বান জানায় এবং একই সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলার লক্ষ্যে (র্যাংকিং বাড়ানোর জন্য) যে ওয়ানডে ম্যাচগুলো আগামী এক বছরে খেলবে, সে তালিকাও সরবরাহ করেছে বিসিবি।
বিসিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ‘আইসিসি এফটিপি অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর-২০২৫ থেকে শুরু করে ২০২৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মোট ২৪টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে, দেশে এবং বিদেশে। এই সময়কালটি বিশ্বকাপের স্বয়ংক্রিয় যোগ্যতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গতঃ বর্তমানে আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১০ নম্বরে। বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে সেরা আটের মধ্যে। তাদেরকে বাদ দিলে র্যাংকিংয়ে ৯ম স্থান পর্যন্ত বাকি আটটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে।
সে হিসেবে ১০ম স্থানে থাকলে বাংলাদেশকে পরবর্তীতে বাছাই পর্ব খেলতে হবে। আর ২০২৭ সালের মার্চের আগে র্যাংকিংয়ের উন্নতি ঘটাতে পারলে বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবে।
বাংলাদেশের নির্ধারিত ওয়ানডে সূচি (অক্টোবর ২০২৫ –নভেম্বর ২০২৬)
আফগানিস্তান – ১টি ওয়ানডে (অ্যাওয়ে, আরব আমিরাতে চলমান সিরিজের শেষ ম্যাচ)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৩টি ওয়ানডে (হোম)
পাকিস্তান – ৩টি ওয়ানডে (হোম)
নিউজিল্যান্ড – ৩টি ওয়ানডে (হোম)
অস্ট্রেলিয়া – ৩টি ওয়ানডে (হোম)
জিম্বাবুয়ে – ৫টি ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
আয়ারল্যান্ড – ৩টি ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
ভারত – ৩টি ওয়ানডে (হোম)
এই সিরিজগুলো আইসিসি এফটিপির আওতায় দ্বি-পাক্ষিক প্রতিযোগিতা হিসেবে নির্ধারিত, যা সরাসরি বাংলাদেশের ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে প্রভাব ফেলবে এবং সেরা আটে থাকতে পারলে অটোমেটিক বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
এইচকেআর
