ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • চন্দ্রমোহন বিএনপির বহিস্কৃত নেতার সরকারি জমি দখল, আটকে দিলো প্রশাসন চেয়ারম্যান ও তার আত্মীয়র বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য যা দরকার করব, বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা দলীয় লোক অপসারণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবি বিএনপির বাড়িভাড়া বাড়ানোয় ‘সন্তুষ্ট’ শিক্ষকরা, আন্দোলন স্থগিত বুধবার থেকে ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা, খোলা থাকবে শনিবারও সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন নির্ধারণে খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নাজিরপুরের সভাপতি ভাইসহ ঢাকায় গ্রেফতার শিয়ালবাড়ী অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রকৌশলীর দাফন আমতলীতে সম্পন্ন বামরাইলে ব্রিজে ভয়াবহ ফাটল, পরিদর্শন করলেন ইউএনও
  • চেয়ারম্যান ও তার আত্মীয়র বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ

    চেয়ারম্যান ও তার আত্মীয়র বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের বাহেরচর বাজার এলাকায় সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে একটি মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মশিউর রহমান এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহেরচর বাজার সংলগ্ন একটি সরকারি খাস জমিতে সম্প্রতি পাকা মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

    চেয়ারম্যানের বক্তব্য অনুযায়ী, স্থানীয় ভ্যানচালক নুরু বেপারী সরকার কর্তৃক উক্ত খাস জমির বন্দোবস্তপ্রাপ্ত হন, এবং তিনি নুরুর কাছ থেকে জমিটি কিনে মার্কেট নির্মাণ করছেন।

    তবে সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ভূমিহীন ব্যক্তি খাস জমি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারেন না, কারণ সরকার তাঁকে শুধুমাত্র আবাসনের জন্য জমি দেয়, ব্যবসায়িক কাজে নয়। 

    অতএব, নুরু বেপারীর জমি বিক্রি এবং চেয়ারম্যানের ক্রয়—উভয়ই বেআইনি ও সরকারি বিধি-বিধানের পরিপন্থী।

    স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যান মশিউর রহমানকে এই অবৈধ কাজের সাহষ ও সহায়তা দিয়েছেন তাঁর আপন মামা এবং বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. রাকিবুল হাসান খান। তাদের রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে খাস জমি দখল ও মার্কেট নির্মাণের কাজ নির্বিঘ্নে চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের প্রেরিত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানের প্রতিনিধির কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ করে ফিরে গেছেন, ফলে অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ না হয়ে বরং আরও গতি পেয়েছে।

    এলাকাবাসীর দাবি, উক্ত খাস জমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যতে সরকারি স্থাপনা নির্মাণের উপযোগী স্থান। তারা বিষয়টি তদন্ত করে খাস জমি দখলমুক্ত করা, অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ