চন্দ্রমোহন বিএনপির বহিস্কৃত নেতার সরকারি জমি দখল, আটকে দিলো প্রশাসন


বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন বাজারে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির বহিস্কৃত সভাপতির বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল থেকে বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দুপুরেই বহিস্কৃত বিএনপি নেতার সরকারি জমি দখল আটকে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসক। ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠিয়ে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, চন্দ্রমোহন ত্বহা বাজারে ওবায়দুল করিম তুহিন নামের একজনের স্টল রয়েছে। তিনি স্টল সম্প্রসারণ করতে পেছনের অংশে ত্বহা বাজারের জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। তিনি দাবি করেন- ওই জমি তার ডিসিআর করা। কিন্তু মাপঝোপ ছাড়া তাকে স্টল নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ঘটনাস্থলে তসিলদার পাঠিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে- প্রয়োজনে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জমি মাপা হবে। সেখানে জমি পেয়ে থাকলে ওই ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। এর আগে তিনি কাজ করবে না বলে অঙ্গীকার করেছেন।
জানা গেছে, সরকারি জমি দখল করা ওবায়দুল করিম তুহিন ওরফে তুহিন পণ্ডিত চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বিতর্কিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন রিপনের হয়ে প্রকাশে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। এর আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিপনের চাচার পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচন করেন তুহিন। এ কারণে তাকে বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।
সম্প্রতি বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পর পুনরায় বিএনপিতে ফেরার চেষ্টা করেন তুহিন পণ্ডিত। এমনকি সম্প্রতি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতও করেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, পতিত আওয়ামী লীগের আমলে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন তিনি। চন্দ্রমোহন বাজারে সরকারি জমির ডিসিআর পাওয়া তারই একটি অংশ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এখন নতুন করে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছেন তুহিন পণ্ডিত।
জমি দখলের বিষয়টি স্বীকার করে তুহিন পণ্ডিত বলেন, যেই জমি দখলের অভিযোগ তোলা হয়েছে এটা গত ২৫ বছর ধরে আমার দখলে। এখানে একটি ডোবা ছিল। সেটা ভরাট করে সেখানে আমি শৌচাগার বানিয়েছিলাম। এখন রান্নাঘর বানানোর জন্য ওই জায়গাটা পাকা করছিলাম।
তিনি বলেন, আমি ছাড়া আরও অনেকে একইভাবে সরকারি জমি দখল করেছে। কিন্তু মাঝখান থেকে আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। সম্প্রতি সদর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ঢাকায় গিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে সমাধিতে ফুল দিয়েছি এটাই আমার অপরাধ।
