দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, ঝালকাঠিতে অ্যাডভেঞ্চার ৯ লঞ্চ ও চার কর্মী আটক

মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ঝালকাঠি ঘাটে অ্যাডভেঞ্চার ৯ লঞ্চ এবং লঞ্চের চারকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সম্রাট নামক একটি লঞ্চের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার ৯ লঞ্চের সাথে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারেক রহমানের জনসভায় যোগ দিয়ে ঝালকাঠি বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি অংশ অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চে করে ফিরছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে দুই লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই লঞ্চের ৩০ যাত্রী আহত। চারজন নিহত হওয়ার খবর শোনা যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পুলিশ কিংবা বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেনি।
ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার ৯ লঞ্চের সামনে দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঝালকাঠির পুলিশ এবং নৌ পুলিশ ঘাটে লঞ্চটিকে আটক করেছে। একই সঙ্গে লঞ্চের চার কর্মীকেও আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহতরা সবাই বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
লঞ্চের যাত্রী প্রত্যদর্শী মো. হাসান বলেন, লঞ্চটি ছেড়ে আসার পর রাতে ঘণ কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। গভীর রাতে আমরা ঘুমে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। সামনে গিয়ে দেখি অনেক যাত্রী আহত হয়েছে। কয়েকজন মারাও গেছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই বরিশাল নেমে গিয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আসলে কোন লঞ্চেরই এখানে দোষ না। কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর পেয় নৌ পুলিশ এবং আমরা সকাল থেকেই ঘাটে অবস্থান করছিলাম। কুয়াশার কারণে লঞ্চটি ১১টার দিকে ঘাটে আসে। তখন আমরা লঞ্চের ভেতরে অভিযান চালিয়ে চার কর্মীকে আটক করেছি। পাশাপাশি লঞ্চটিকেও আটক করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এইচকেআর