ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news

মাছ চুরি করতে ছোট ট্রাক নিয়ে ঘোরেন তারা

 মাছ চুরি করতে ছোট ট্রাক নিয়ে ঘোরেন তারা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রামের মাছচাষি মাসুদ রানা (৪৫) হত্যার রহস্যজট খুলেছে। হত্যাকাণ্ডের ২৪ দিন পর গ্রেফতার হয়েছেন তিন অভিযুক্ত। 

আর তাদের গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্তরা মূলত পেশাদার মাছ চোর।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার ভোলারপালমা এলাকার আবদুল মতিনের ছেলে আবদুল লতিফ (৪০), জেলার সদর উপজেলার ফরাদপুরের বসির খাঁ ওরফে মন্টুর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৫০), দক্ষিণ পার নওগাঁর ফসির উদ্দিনের ছেলে আবদুল করিম ওরফে জনি (২৫) এবং আরাজি নাপিতপাড়া এলাকার দুলালের ছেলে শাহীন (৩৪)।

এদের মধ্যে রেজাউল ইসলাম, আবদুল করিম  জনি ও শাহীন বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। 

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, এই চারজন ছাড়াও এই কাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন আরও ৫ থেকে ৬ জন। এরা সবাই পেশাদার মাছ চোর। রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন পুকুরে মাছ চুরির ঘটনায় জড়িত তারা।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় আবদুল লতিফকে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে অন্যদের বিষয়ে তথ্য দেন। এরপর গ্রেফতার করা হয় রেজাউল ইসলামকে। এই দুজনের তথ্যের ভিত্তিতে জনি ও শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের জেরার মুখে তারা স্বীকার করেছেন, রাতে ছোট ট্রাক নিয়ে তারা ঘুরে বেড়ান। এরপর সুবিধামতো স্থানে মাছ চুরি করে নিয়ে যান। মাসুদ রানাকে যেদিন হত্যা করা হয়, প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেদিন তারা গোদাগাড়ীতে হানা দিয়েছিলেন। 

কিন্তু ওই সময় পুকুরপাড়ের টঙঘরে মাছ চাষি মাসুদ রানা ও পাহারাদার লিটন ঘুমিয়েছিলেন। তাদের পিছমোড়া করে বেধে ফেলে রেখে মাছ তুলতে পুকুরে জাল নামান দুর্বৃত্তরা। কিন্তু মাছ চাষির জেলেরা চলে আসায় জাল ফেলে রেখে পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় লিটন বেঁচে গেলেও মাসুদ রানা মারা যান।  


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন