ঝালকাঠিতে ডায়রিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ


ঝালকাঠিতে ডায়রিয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় চার উপজেলায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৬ শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে সদর হাসপাতাল, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন ৪১০ জন।
এদিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিছানা না দিতে পেরে বারান্দায় চিকিৎসা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে আইভি স্যালাইন সংকট। প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অসংখ্য মানুষকে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবীকারা।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার হাসপাতালে দুই হাজার আইভি স্যালাইন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এছাড়াও নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এম খান গ্র”পের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী মো. মাহফুজ খান এক হাজার ও কাজী আলমগীর হোসেন ৩০০ আইভি স্যালাইন সরবরাহ করেছেন।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী জানান, করোনার মধ্যে তীব্র গরমে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে বিছানা না পেয়ে অসংখ্য মানুষ গাদাগাদি করে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। বারান্দায় চিকিৎসার পরিবেশ নেই বলেও অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। বিছানার অভাবে অনেকেই হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। এদিকে হাসপাতালে আইভি স্যালাইন ও খাবার স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমসিম খেতে হচ্চে চিকিৎসক ও সেবীকাদের।
সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ডায়রিয়া পরিস্থিতে স্যালাইন সংকটের কথা শুনে আমি সদর হাসপাতাল ও নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই হাজার আইভি স্যালাইন সরবরাহ করেছি। হাসপাতালে যাতে পর্যাপ্ত স্যালাইন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়, সেজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।
এইচকেআর
