ঝালকাঠিতে মাদ্রাসার ১০ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত, শিক্ষক আটক
শিক্ষার্থীদের কথার শব্দে শিক্ষকের ঘুম ভেঙে যায়, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ১০ শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন এক শিক্ষক। ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া গ্রামে কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসায় শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ওই দিন রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করছিল। তাদের কথার শব্দে ওই শিক্ষকের ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ কক্ষের দরজা আটকে ১০ শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহার করেন।
এতে শিক্ষার্থীরা ব্যাথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে সকল শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষক। মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়। মাগরিবের নামাজের সময় পেছন থেকে কৌশলে নলছিটি উপজেলার বারইকরণ গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সিয়াম (৯) পালিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পোনাবালিয়া বাজারে গেলে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারে। বাজারের শতাধিক ব্যক্তি মাদ্রাাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে। এসময় আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে রাতেই ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে নিয়ে আসেন। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক শিক্ষার্থীর বাবা শামীম খলিফা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মাদ্রাসাটিতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ জন। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. মোরশেদ খান। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ দাবি করেছেন, পড়া না পাড়ায় তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এইচকেআর