ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া রেস্তোরাঁয় মানুষের উপচে পড়া ভিড়

বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া রেস্তোরাঁয় মানুষের উপচে পড়া ভিড়
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 
শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঝড় দিয়ানমুর প্রভাবে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাতে থাইল্যান্ডের ৩৩টি প্রদেশে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ৩ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ জন। কিন্তু সেই বন্যাই আশীর্বাদ হয়ে এসেছে ননথাবুড়ির চাওপ্রায়া অ্যানটিক ক্যাফের জন্য।

রাজধানী ব্যাংককের প্রাণকেন্দ্র থেকে একটু দূরে নদীতীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত এই রেস্তোরাঁটি। বৃষ্টি ও বন্যার মধ্যেই বিকেল ও সন্ধ্যায় খাদ্যরসিকদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে ওঠে সেখানে। চেয়ার-টেবিলে গ্রাহকেরা বসতে পারলেও তাদের পা ডুবে থাকে পানিতে। আর তখন পাশেই নদীর ওপর দিয়ে যদি কোনো নৌযান চলে যায়, ঢেউ এসে লাগে খাবার টেবিলে। কখনো কখনো ঘোলা, নোংরা পানি থেকে কাপড় বাঁচাতে চেয়ারের ওপর চড়ে বসতে হয় গ্রাহকদের।

যখন বন্যা শুরু হয়েছিল, তখন রেস্তোরাঁর মালিক তিতিপর্ন জুটিম্যানন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করবেন বলেই ভাবছিলেন। আচমকা তার মাথায় আসে পানির মধ্যে বসে খেতে নিশ্চয়ই গ্রাহকদের আপত্তি থাকবে না। যেই কথা সেই কাজ। পানির মধ্যেই শুরু করলেন গ্রাহকসেবা।

এএফপিকে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের মুখে মুখে এ রেস্তোরাঁর কথা ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন। ফলে যারা একটু ভিন্ন আয়োজন পছন্দ করেন, তাদের কাছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি জনপ্রিয়তা পায়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে ব্যাংককে দীর্ঘদিন রেস্তোরাঁ ও পানশালাগুলো বন্ধ ছিল। থাই রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, গত মাসে দেশটির কর্তৃপক্ষ রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অনুমতি দেয়।

করোনার পর বন্যার কারণে যদি আমার রেস্তোরাঁ আবার বন্ধ রাখতে হতো, তবে এই ব্যবসা আর চালাতে পারতাম না।

বন্যার মধ্যে রেস্তোরাঁ চালানো অনেক কঠিন। তিনি বলেন, পানি ভেঙে গ্রাহকদের খাবার টেবিল পর্যন্ত নিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হয়। দিনশেষে এখানকার কর্মীদের গা থেকে কাদামাটি পরিষ্কার করতে হয়।

রেস্তোরাঁটির ৪৯ বছর বয়সী এক ভোজনরসিক গ্রাহক বলেন, ‘ইদানীং অর্থনৈতিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না...আমি মনে করি, এটা খুব ভালো পরিকল্পনা। রেস্তোরাঁর মালিক প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন।’

তবে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ লোকজনকে বন্যার পানিতে না নামতে বা সাঁতার না কাটার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, বন্যার পানির সঙ্গে ভেসে আসে পয়োনিষ্কাশনের ময়লা, রাসায়নিক ও শিল্পকারখানার বর্জ্য। এতে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে।

সূত্র: এএফপি


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন