আমতলীতে নারিকেল উৎপাদনে ধস, দাম বেড়েছে দ্বিগুণ


বরগুনার আমতলীসহ উপকূলীয় এলাকায় এক প্রকার সাদা মাছি পোকার আক্রমণে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার গ্রামাঞ্চলে নারিকেল উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন মোবাইল ফোনের টাওয়ার স্থাপনের কারণে এ অঞ্চলের নারিকেল গাছ গুলোর ফুল ও ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে চাষীদের ধারণা। পরবর্তীতে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। রোগের কারণে নারিকেল গাছ গুলোতে প্রচুর ফুল ধরার পরেও ফল পরিপক্কতা হচ্ছে না। সূত্রে জানা যায়, এক ধরণের ছোট সাদা মাছি পোকার আক্রমণে কচি ডাবের বোটার কাছ থেকে খোসা বা খোলের ওপর বাদামি দাগ পড়ছে। ফলে কচি নাকিলের চার পাশে বাদামি দাগে ভরে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে দাগ থেকে আঠালো পদার্থ নির্গত হওয়ায় অধিকাংশ নারিকেল গাছের ফুল ফলে পরিণত হওয়ার আগেই ঝরে যায়।
জানা যায়, বর্তমানে বড় সাইজের এক জোড়া নাকিকেল ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগে বিক্রি হতো ২০-২৫ টাকা। তবে, একটি বড় ডাব বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। যা আগে বিক্রি হতো ১৫-২০ টাকায়। গত আট-দশ বছর ধরে এএলাকায় হাজার হাজার নারিকেল গাছে এক প্রকার সাদা মাছি পোকার কারণে নারিকেলের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম মুঠোফোনে জানান, ১৯৯৭ সালের শেষের দিকে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র শ্রীলংকায় এ রোগের আবির্ভাব ঘটে। ওই সময় শ্রীলংকার কৃষিবিদরা গাছের এ রোগ সম্পর্কে ব্যাপক পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে নিশ্চিত হয়, যে নারিকেলে সংক্রমণের জন্য সাদা মাছি পোকাই দায়ী। বাংলাদেশের রাজশাহি অঞ্চলে ২০১৯ সালে এ পোকার আক্রামন আসে আর এ কারণেই ডাব ও নারকেলের ফলন কমে যাচ্ছে।
এইচকেআর
