চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর বাঁচার আকুতি


লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী মিল্লাত জটিল হৃদরোগে আক্রান্ত। মায়াময় পূথিবীতে বাঁচার আকুতি তার। সে স্থানীয় ব্রাক স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। তার পিতা শফিকুল ইসলাম একজন ক্ষুদ্র পানের দোকানদার। তার রয়েছে ৬ শতাংশের ভিটেবাড়ি। শফিকুলের একমাত্র ছেলে মিল্লাত।তার আর ছেলে না থাকলেও সংসারে আরো রয়েছে ৩ মেয়ে।
মিল্লাতের ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হওয়া। গরীব পিতা মাতার অভাব দূর করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনা। কিন্তু জটিল হৃদ্রোগে ভাঙ্গতে যাচ্ছে তার সে স্বপ্ন।
মিল্লাতের পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলের শারীরীক অবস্থার অবনতি দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক কার্ডিওলজি ডা. মো. আবু জাহিদ বসুনিয়ার চিকিৎসা নেন। কিন্তু ওই চিকিৎসক, শারীরীক অবস্থার অবনতি দেখে মিলটনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় পাঠান। ঢাকার চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ও কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস পাটোয়ারী পরীক্ষা- নিরিক্ষা শেষে মিল্লাত জটিল হৃদ্রোগে আক্রান্ত বলে জানান। জরুরি ভিত্তিতে মিলটনের অপারেশন প্রয়োজন।অপারেশনে ৫/ ৬ লক্ষাধিক টাকা লাগবে। চিকিৎসা করাতে ইতোমধ্যে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে গেছে।কিন্তু তার গরীব বাবা মায়ের পক্ষে বিপুল পরিমান টাকা সংগ্রহ করা অসম্ভব। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসা চালিয়ে নিতে জরুরি ভিত্তিতে সমাজের বিত্তবান, হৃদয়বান ও শুভাকাঙ্খীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছেন মিল্লেতের পরিবার। এদিকে রোগীর অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটছে। ইদানীং তার হাটা ও চলাফেরা করতে কষ্ট হচ্ছে। মুখমন্ডল ফুলে যাচ্ছে।
মিল্লাতের প্রতিবেশী ইয়াছিন, শাহাজাহান ও বাচ্চা মিয়া বলেন, কয়েকমাস আগেও ছেলেটি লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলো করে বেড়াতো। কিন্তু ছেলেটি ধীরেধীরে শারীরীক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে দেখে কষ্ট হচ্ছে। মিলটনের পিতা শফিকুল একজন ক্ষুদ্র পানের দোকানদার।তার সামর্থ্য নেই ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে নেয়ার। তার চিকিৎসা সেবায় সমাজের সকল পেশা ও শ্রেণির লোকের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
এমইউআর
