বরিশালের গণ পরিবহনের হেলপারের মুখে নেই মাস্ক


বরিশাল থেকে জেলা ও উপজেলার অভ্যন্তরে চলছে গণ পরিবহন। তবে এসব পরিবহনে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও তা ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না। মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা মানছেন না যাত্রী ও পরিবহণ শ্রমিকরা। শনিবার দুপুরে রুপাতলী বাসর্টামিনালে সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীবাহী পরিবহনের শ্রমিকদের মধ্যে মাস্ক পরার খুব একটা তাগাদা নেই।
অধিকাংশ হেলপারের মুখেই মাস্ক নেই। মাস্ক থাকলেও সেটি কারো থুতনিতে আর কারো নাকের নিচে। রুপাতলী থেকে বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালী, পিরোজপুর,ভান্ডারিয়া,আমতলী, নলছিটি রুটে চলাচলরত পরিবহনসহ বিভিন্ন বাসে প্রায় একই রকম চিত্র দেখা গেছে। দেখা যায়, অধিকাংশ হেলপারের হাতে নেই সুরক্ষা সামগ্রী ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
মুখে নেই মাস্ক। অনেক পরিবহনের হেলপার ছবি তোলা দেখে মুখে মাস্ক পরে নেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধিকাংশ হেলপার-চালক কথা না বলে বাসের ভেতরে ঢুকে পড়েন। জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জগামী বরিশাল মেট্রো-ব ১১-০১০৪ পরিবহনের এক হেলপার নিজের নাম নিজাম উলেখ করে জানান, শনিবার হওয়ায় যাত্রী নেই। দেখেন বেশিরভাগ সিট ফাঁকা। তাই মাস্ক পরিনি ।
পিরোজপুরগামী একটি বাসের হেলপার বলেন, যাত্রীই কম, মাস্ক পরে কী আর করব! ঝালকাঠী রুটের বাসের হেলপারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে থুতনি থেকে মাস্ক টেনে উপরে উঠিয়ে নিজের নাম উল্লেখ না করে বলেন, মাস্ক পরলেই কী হবে আর না পরলেই কী হবে? করোনা কি বসে আছে?
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ শাহারিয়া বাবু বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে পরিবহনগুলোতে ইস্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়েছে । হেলপার ও চালকদের মাস্ক পরার জন্য শর্তক করা হয়েছে।তারপরও যদি কোন হেলপার ও চালক আদেশ মানতে অনিহা প্রকাশ করলে তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা মনিটরিং করছে। আমরা নিজেরাও মনিটরিং করছি।
বরিশাল পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার হোসেন শিপন বলেন, পরিবহনের যাত্রীদের স্বাস্হ্যবিধি মানার জন্য মালিক সমিতি থেকে মনিটরিং টিম টার্মিনালে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করছেন। সুরক্ষা সামগ্রী ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার যাত্রী থেকে শুরু করে হেলপার ও চালকদের ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। এরপরও কেউ যদি না মানে, তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্হা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন নেতাদের বলা হবে ।
এইচকেআর
