খুদে বার্তা পাঠিয়ে ইমামের আত্মহত্যা


ভোলার দৌলতখানে স্বজনের মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মো. আব্দুল হালিম নামে এক মসজিদের ইমাম আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে দৌলতখান উপজেলার হাসমত বেপারীর মসজিদের ইমামের নিজ কক্ষ থেকে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিজের পাগড়ির কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস নেন তিনি।
এ সময় ওই কক্ষ থেকে চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়। ওই চিরকুটও লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। আব্দুল হালিম সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউপির চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামের মো. ফারুক ফরাজীর ছেলে ও দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউপির হাসমত বেপারীর বাড়ির মসজিদের ইমাম ছিলেন।
জানা গেছে, সোমবার রাতে এশার নামাজ পড়িয়ে তাঁর কক্ষে চলে যান আব্দুল হালিম। রাত ১২টার দিকে তিনি আত্মীয়-স্বজনের মোবাইলে তিনি বেঁচে থাকবেন না বলে একটি খুদে বার্তা পাঠান। পরে তাঁর মোবাইলে স্বজনরা একাধিকবার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেনি। পরে তাঁর ভগ্নিপতি রাসেদ রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই মসজিদে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন নিজের পাগড়ি খুলে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন আব্দুল হালিম। পরে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে দৌলতখান থানায় খবর দেয়।
পরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। চিরকুটে লেখা রয়েছে 'আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়'। মৃত্যুর পর তার লাশ ময়নাতদন্ত না দেওয়ার অনুরোধ জানান। এবং তার চার মাসের সন্তানের দিকে খেয়াল রাখার কথাও লিখেছেন। তাঁর কাছ থেকে কারা কারা টাকা পাবেন সেটিও চিরকুটে উল্লেখ করেছেন।
দৌলতখান থানার ওসি মো. জকির হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
এইচকেআর
