কলাপাড়ায় ইয়াসের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয়স্থল বেড়িবাঁধ


ইয়াসের তান্ডবে লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর, নীলগজ্ঞ, মহিপুর,ও কুয়াকাটা ইউনিয়নের শতশত ঘরবাড়ী পাঁচ দিন যাবৎ পানির নীচ তলিয়ে থাকায় অসহায় পরিবারগুলোর আশ্রয় নিয়েছে ভেরীবাঁধ। অনেকের খোরাকের চাল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। মাছের ঘের তলিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ নদীতে নেমে গেছে। অসহায় পরিবার গুলোর আশ্রয় এখন ভেরীবাঁধ ওপর। ৩০ মে রোববার সকাল দশটায় লালুয়া চান্দুপাড়া গ্রামের শহিদ হাওলাদার এর স্রী জয়নব বিবি(৪৫) র সাথে কথা হলে, তিনি বলেন, আজ চারদিন যাবৎ বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ী পানির নীচ তলিয়ে থাকায় আমরা অসহায় অবস্হায় শিশু সন্তান নিয়ে খেজুর পাতা ওতালপাতার ডেরায় অভুক্ত থাকার পর তেগাছিয়া গ্রামের জামাতা হারুন তালুকদার এর বাড়ী থেকে রান্না করা খাবার খেয়েছি। আমাদের স্বামী শ্বশুর পুত্র কন্যা নিয়ে ৬ সদস্যের সংসার। পাঁচ দিনে সরকারি কোন অনদান পাইনি। তবে মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মহিবুর রহমান মহিব মহোদয় তিন কেজি চাল, এক আলু, এক লিটার তেল, সাহায্য দিয়েছেন। ভুক্তভোগী কদম আলী খানের পুত্র মোঃ আবুল হোসেন খান(৬০) জানান,পাঁচ সদস্যের সংসার আমার চার মন চাল বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ায় তা এখন খাবার উপযুক্ত নয়।
স্বজনের বাড়ী থেকে দিলে খাই। না হয় ওপস থাকি। আর পলিথিন ছাউনি ও তালপাতার বেড়া দিয়ে ডেরার মধ্যে নাতিপুতি নিয়ে কষ্টে রাত কাটাই। জয়নব বিবি তার ৫৫ দিনের শিশু রাস্তায় ঘুমিয়ে রেখে অন্য সন্ধানের প্রহর গুনছেন। লালুয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৯ হাজার লোকের বসবাস তার মধ্যে ১৭ হাজার মানুষই দরিদ্রহীন। লালুয়া ইউনিয়ন রামনাবাদ নদীর তীরে বিধায় ইয়াসের তান্ডবে প্রায় সাত কিঃমিঃ ভেরীবাঁধ ভেঙ্গে নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে।
ধানখালীর নিশানবাড়িয়া গ্রামের মোঃ আদম আলী হাওলাদার এর পুত্র মোঃ সালাহউদ্দিন লাভলু জানান,ইয়াসের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এমপি মহোদয় একদিন এলাকায় এসে সাহায্য দেয়ার ও নলকুপ বসার বক্তৃতা শুনিয়ে গেছেন, তারপর আর কোনো হদিস নেই। আমরা এখন খুবই দুর্ভোগে দিন কাটছি। তবে সৃষ্টি কর্তা ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই। লালুয়া চারিপাড়া দেবপুর, তালিতাবুনিয়া, নিজামপুর, নিজকাটা গ্রামের মানুষের ত্রাণের কোনো দাবী নেই। টেকসই বাঁধ চাই দাবীতে বিভিন্ন মহলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবী করে আসছেন।
এমবি
