‘গরীবের ডাক্তার’আফতাব ইউছুফ রাজ


ভোলার দৌলতখানের কৃতি সন্তান প্রফেসর ডা. আফতাব ইউছুফ রাজ। তিনি ঢাকার স্কয়ার হসপিটালের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং শিশু বিভাগ ও নবজাতক আইসিইউ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ডা. আফতাব ইউছুফ রাজ বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএমবিবিএস সম্পন্ন করেন।
এরপর কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থকে ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হসপিটালে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ভোলেননি নিজ জন্মস্থান দৌলতখানের মানুষের কথা। তাই ঢাকা থেকে দৌলতখানে ছুটে আসেন মানুষের সেবা দিতে। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিয়ে অসহায় মানুষের অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছেন। সকলের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন 'মানবিক ডাক্তার' হিসেবে। হতদরিদ্র মানুষ তাঁকে 'গরীবের ডাক্তার ' বলেও থাকেন।
দৌলতখান পৌরশহরের লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে রাত অবধি রোগী দেখেন। ভোলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও অসংখ্য রোগী আসে এখানে । ধৈর্য ধরে রোগীর সমস্যার কথা শুনে অবিরাম সেবা দিয়ে যাচ্ছেন । তিনি মানব সেবার ব্রত নিয়ে মফস্বলের মানুষের সেবা করছেন । দৌলতখানের মানুষের কাছ থেকেও পেয়েছেন অনেক ভালবাসা। শুধু ফ্রি চিকিৎসা সেবাই নয় অনেককে নিজ খরচে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করছেন।
চরখলিফা গ্রামের খালেদা ইয়াছমিন তাঁর শিশু কন্যাকে নিয়ে আসেন লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে । কথা হলে তিনি বলেন, ' স্যার অনেক বড় ডাক্তার। কোনো ফি নেন না। বাচ্চাটা সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে ভুগছে। তাই নিয়ে এলাম। আগেও একবার দেখিয়েছি। এখন আগের চেয়ে ভালো।'
পাশের চেয়ারে ১০ মাসের শিশু পুত্র সিয়ামকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা আরজু বেগম। তিনি জানান, গরীব মানুষ। টাকার অভাবে শিশুর চিকিৎসা করাতে পারিনি। নিউমনিয়া হয়েছে। প্রতিবেশীর কাছে শুনে এখানে এসেছি। শুনেছি স্যার বিনা টাকায় রোগী দেখেন। গরীবের ডাক্তার তিনি।'
একান্ত আলাপচারিতায় প্রফেসর ডা. আফতাব ইউছুফ রাজ বলেন, আমার বাবা এডভোকেট ইউছুফ হোসেন হুমায়ুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। তিনি এই এলাকার আওয়ামীলীগের এমপি ছিলেন। ' ছোটবেলা থেকে আমার আকাঙ্খা ছিলো এখানকার মানুষের জন্য কিছু করা। আমার জন্মভূমি দৌলতখানে তিন বছর আগে ফ্রি চিকিৎসাদান কর্মসূচি শুরু করেছি । মানুষের ভলোবাসা ও দোয়ায় করোনা মহামারির মধ্যেও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালিয়ে গেছি। কিছুদিন আগে বোরহানউদ্দিনে শুরু করলাম। ইনশাআল্লাহ জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এখানকার মানুষকে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাবো । '
এইচকেআর
