ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news
ঘুর্নিঝড় ইয়াসের তান্ডব

কলাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

কলাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঘুর্নিঝড় ইয়াসের তান্ডবে কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর,নীলগজ্ঞ,কুয়াকাটা ৫ টি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার ভেরীবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে তলিয়ে যায়।

এতে পাঁচ হাজার পরিবার গৃহহারা হয়ে ভেরীবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পেটে নেই ভাত পড়নে নেই বস্র, মাথা গোঁজার  নেই ঘর বাড়ী। 

পুত্র পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঝোপতে পলিথিন নারিকেলও তালপাতা ছাউনি দিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঘুর্নিঝড় ইয়াসের পরে স্হানীয় সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ মহিবুর রহমান মহিব ও কিছু বেসরকারি সংস্থার শুকনা খাবার একবোতল করে বিশুদ্ধ পানি সাহায্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। 

এরপর অসহায় গরীব পরিবার গুলোর খবর কেউ নিতে এগিয়ে আসেনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিকট। লালুয়া চরচান্দুপাড়া গ্রামের (৮০) বছরের বৃদ্ধা জরিম চৌধুরী  (৫৩) বছরের আব্বাস দালাল বলেন, ঘুর্নিঝড় ইয়াসের তান্ডবের তিন দিন পর কয়েকজন বিত্তবান নেতারা আমাদের এলাকায় কিছু শুকনা খাবার নিয়ে এসে বিতরণ করে সেলফি তোলে বিভিন্ন ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেক নজরে নিয়ে দিয়েছেন তারা অসহায় গরীব মানুষের পাশ্বে দাঁড়িয়ে। 

বর্তমানে আমরা কত অসহায় অবস্হায় না খেয়ে পড়ে কত কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। তাছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ  কিঃমিঃ ওয়াপদা ভেরীবাঁধ, নীলগজ্ঞ ইউনিয়নের নিজকাটা গ্রামের স্লুইস ভেঙ্গে, চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর তিন কিঃমিঃ রাস্তা ভেঙে পানি ঢুকে প্রায় ২০ হাজার পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়েছে।

কয়েক শত মানুষ পানিবন্দি ঘরবাড়ী ছেড়ে ভেড়িবাধে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবার অন্য,পানীয় জল, বাসস্হানের সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে বর্ষামৌসুম চলমান রয়েছে। দুদিনের বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো রান্ণাবান্নারও স্হান না থাকায় অভুক্ত অবস্হায় দিন কাটছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রানের দাবী খাবার চাই না টিকসই ভেরীবাঁধ চাই। 

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো দীর্ঘবছর যাবৎ পাউবো কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে টিকসই ভেরীবাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়ে বারবার মানববন্ধন কর্মসূচি  করেও কোনো সুফল আমরা পাইনি।

 স্হানীয় চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারী বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে যে সাহায্য সহযোগিতা পেযয়ছি তা জনসংখ্যার চেয়ে অপ্রতুল।  পাউবো কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসিয়ালি নিয়মানুয়ী লালুয়া, দেবপুর,নিজামপুর, নিজকাটা গ্রামের স্লুইস ওভেরীবাধঁ নির্মাণ ও পুর্ননির্মান করার জন্য বরাবর উর্ধ্বতন মহলে চিঠি পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে বাধঁ নির্মান কাজ শুরু করা হবে।  
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন